পঞ্চায়েতে বেলাগাম হিংসা: দায়ী রাজ্য সরকার ও মমতাই, সাফ বললেন অপর্ণা সেন
রাজ্যের গণতান্ত্রিক পরিবেশ ক্রমশ ব্যহত হচ্ছে, এই অভিযোগ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিচ্ছেন অপর্ণরা। সেই খোলা চিঠি এদিন মঞ্চে পড়ে শোনান অভিনেত্রী ও পরিচালক।
রাজ্যের গণতান্ত্রিক পরিবেশ ক্রমশ ব্যহত হচ্ছে, এই অভিযোগ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিচ্ছেন অপর্ণরা। সেই খোলা চিঠি এদিন মঞ্চে পড়ে শোনান অভিনেত্রী ও পরিচালক।
বাংলায় অশান্তি, শেষ পর্যন্ত মুখ খুললেন বুদ্ধিজীবী অপর্ণা সেন।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাংলায় বেলাগাম হিংসার ঘটনা ঘটেছে। ৩৭ দিনে নিহত হয়েছেন ৫২ জন। এই পরিস্থিতির জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দায়ী করলেন অপর্ণা সেন। বৃহস্পতিবার মানবাধিকার রক্ষা সম্পর্কিত সংগঠন এপিডিআরের আলোচনাচক্রের বাংলার গণতন্ত্র নিয়ো নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। রাজ্যের গণতান্ত্রিক পরিবেশ ক্রমশ ব্যহত হচ্ছে, এই অভিযোগ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিচ্ছেন অপর্ণরা। সেই খোলা চিঠি এদিন মঞ্চে পড়ে শোনান অভিনেত্রী ও পরিচালক অপর্ণা সেন।
Advertisment
এপিডিআর-এর অনুষ্ঠানমঞ্চে পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার জন্য সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করে অপর্ণা সেন বলেন, 'আপনি অবগত আছেন যে গত ৮ জুন থেকে এ পর্যন্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গে গত ৩৭ দিনে ৫২ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। বহু মানুষ নিঁখোজ। আপনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব অস্বীকার না করলেও এ কথা বলা যায়, এই ভোটে হত্যালীলা ও অরাজকতার দায়িত্ব পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ও আপনার। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের উপর নির্ভর করেই কেন্দ্রীয় বাহিনী ও নির্বাচন কমিশনকে চলতে হয়। পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে এই দায়িত্ব কোনওভাবেই আপনি অস্বীকার করতে পারেন না'
এপিডিআর-এর সভায় অপর্ণা সেন। ছবি পার্থ পাল
খোলা চিঠিতে বলা হয়েছে, 'আমরা দাবি করছি অবিলম্বে এই রক্তস্নাত পশ্চিমবঙ্গে নিরপেক্ষ প্রশাসনিক ব্যবস্থা চালু করার মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ বাসীর প্রাণ, সম্পত্তি রক্ষার জন্য জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকার উদ্যোগী হোক।'
Advertisment
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অপর্ণা সেন বলেন, 'শেষের দিকে বাম সরকার যা করছিল তা অত্যন্ত বাজে কাজ। সেই কাজের নিন্দার প্রয়োজন ছিল। বামফ্রন্টকে পশ্চিমবঙ্গের শাসন থেকে সরানোর প্রয়োজন ছিল। কিন্তু বাম সরকারকে সরিয়ে এই ধরণের সরকার আমরা চাইনি। আমার মন ভেঙে গিয়েছে। আমি অনেকভাবে প্রতিবাদ করেছি, চেষ্টা করেছি অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে। এ রাজ্যে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ক্রমশ কমছে। জানি না এরপর কি হবে। খুব ভাল লাগে যে আর বেশিদিন বাঁচতে হবে না।'