RG Kar Case: এমন কটাক্ষ যে শুনতে হবে তা হয়তো অপর্ণা সেন, মীরাতুন নাহার, পল্লব কীর্তনীয়া, সুজাত ভদ্ররা কোনওদিন ভাবেননি। আরজি করে পৌঁছতেই নজিরবিহীন কটাক্ষের ঢেউ অপর্ণা সেনদের দিকে। 'চটিচাটা বুদ্ধিজীবীরা দূর হটো', মঙ্গলবার বিকেলে আরজি করে পৌঁছাতেই অপর্ণা সেনদের দিকে ধেয়ে এল এমনই বিস্ফোরক সব কটাক্ষ।
আরজি কর কাণ্ডে এতদিন রাজ্যের বুদ্ধিজীবীরা কেন পথে নামেননি তা নিয়ে আন্দোলনকারীদের একাংশ সরব হয়েছিলেন। তবে এবার প্রতিবাদে পথে নামতে দেখা গেল অপর্ণা সেন, মীরাতুন নাহার, সুজাত ভদ্র, পল্লব কীর্তনিয়া-সহ অন্যান্য বিশিষ্টদের। শ্যামবাজার থেকে আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল বুদ্ধিজীবীদের একাংশের। আরজি করে পৌঁছোতেই অপর্ণা সেন, মীরাতুন নাহার, পল্লব কীর্তনিয়াদের দিকে তীব্র কটাক্ষ ধেয়ে আসতে থাকে। কেউ কেউ বলতে থাকেন, "চটিচাটা বুদ্ধিজীবীরা দূর হটো। চটিচাটা বুদ্ধিজীবীরা নিপাত যাক।"
তবে এমন কটাক্ষ শুনেও এদিন মেজাজ হারাননি বুদ্ধিজীবীরা। আরজি কর হাসপাতালে বিক্ষোভরত ডাক্তারি ছাত্রছাত্রীদের মাঝে গিয়ে সামিল হন তাঁরা। এদিন আরজি করে পৌঁছে চলচ্চিত্র শিল্পী অপর্ণা সেন বলেন, "কলকাতার নাগরিক হিসেবে এখানে এসেছি। আরজি কর হাসপাতালে যে নৃশংস ঘটনা ঘটেছে তার প্রতিবাদ জানাতে আমরা এখানে এসেছি। ছাত্রদের দাবির সঙ্গে আমি একমত। আন্দোলনকারীদের সম্পূর্ণ সমর্থন জানাতে আমি এখানে এসেছি। কলকাতার নাগরিক হিসেবে আমি লজ্জিত। রাজ্য সরকার যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সমস্ত ব্যবস্থা নিক যাতে সব মেয়েরা নিশ্চিন্তে কাজ করতে পারে। আরজি করে পর্যাপ্ত পরিমাণে সিসিটিভি ক্যামেরা নেই কেন? সরকারকে দায় নিতে হবে। সরকারি হাসপাতালে কর্মরতদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে রাজ্যকে।"
আরজি করের ঘটনায় পুলিশকে দুষে অপর্ণা সেন আরও বলেন, "হাসপাতালে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের ঢোকা বন্ধ করা হোক। মেয়েটির মৃত্যুর পর কেন পুলিশ প্রথমে এটাকে আত্মহত্যার ঘটনা বলল? তখনই কার নির্দেশে মৃতার পরিবারকে জানানো হলো যে সে আত্মহত্যা করেছে? কেন পুলিশ তখনই তড়িঘড়ি এত ব্যস্ত হয়ে গেল পোস্টমর্টেম করার জন্য? যে হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটেছে সেখানেই কেন পোস্টমর্টেম করতে বলা হল? এই সব প্রশ্ন আমাদের সকলের মনে উঠেছে। এসব প্রশ্নের জবাব আমরা চাই। পুলিশের ভূমিকার তদন্ত হোক। খুব শরীর খারাপ নিয়ে এসেছি। আমার মনে হয়েছে এখানে আসাটা দরকার। ছাত্র-ছাত্রীদের বলছি আমার কন্ঠ তোমাদের কন্ঠের সঙ্গে মেলালাম।"
আরও পড়ুন- RG Kar Case: আরজি করে চিকিৎসক খুন, আর দেরি না করে CBI তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের!
এদিকে আরজি করের ঘটনায় নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকারও কঠিন সমালোচনা করেছেন শিক্ষাবিদ মীরাতুন নাহার। তাঁর কথায়, "সবটাই প্রহসন তৈরি করা হচ্ছে। এটাকে নাটক বললে নাটককেও অসম্মান করা হয়। উনি নিজেই বলছেন তদন্ত চাই। এর থেকে বড় প্রহসন আর হয় না। জনগণের মাধ্যমেই প্রতিরোধ-গর্জন উঠে আসুক। এই মহিলাকে আমরা আর গদিতে দেখতে চাই না। মানুষের জীবনের নিরাপত্তা অনিশ্চিত করে তুলেছেন উনি।"