/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/04/App-Cab.jpg)
অ্যাপ ক্যাবে ভাড়ার অঙ্ক বেড়েই চলেছে, ভোগান্তি বাড়ছে যাত্রীদেরও।
এক কথায় 'যা ইচ্ছে তাই করছে' অ্যাপ ক্যাব, এমনই অভিযোগ একটি বড় অংশের যাত্রীদের। ব্যস্ত সময়ে অ্যাপ ক্যাবে চড়তে গেলেই রীতিমতো 'ছ্যাঁকা' লাগার জোগাড় হয়েছে। ভাড়ার অঙ্ক দিন-দিন বেড়েই চলেছে। যাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, ব্যস্ত সময়ে অনেক ক্ষেত্রেই প্রতি কিলোমিটারে ৩৫ টাকারও বেশি গুণতে হচ্ছে তাঁদের। সব মিলিয়ে ভোগান্তি বাড়ছে যাত্রীদের। রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা বলবৎ না হওয়ার কারণেই যাত্রী-ভোগান্তি এড়ানো যাচ্ছে না। চালকদের প্রাপ্য মজুরি ও অ্যাপ ক্যাব সংস্থার কমিশন নিয়ে টানাপোড়েনের শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা, এমনই দাবি অ্যাপ ক্যাব চালক সংগঠনের।
'জ্বালিয়ে খাচ্ছে অ্যাপ ক্যাব', অভিযোগে সরব একটি বড় অংশের যাত্রীরা। যাত্রী পরিষেবা আরও মসৃণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভাড়া বাড়িয়েছে অ্যাপ ক্যাব সংস্থাগুলি। কিন্তু তাতেও পরিষেবা মসৃণ হওয়ার বদলে যাত্রী হয়রানিই বেড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে গত কয়েকমাসে তা মাত্রা ছাড়িয়েছে বলে দাবি কারও-কারও। শহরের বেশ কিছু এলাকার যাত্রীদের অভিযোগ, মোটের উপর একই। বিকেলের পর থেকে অ্যাপ ক্যাবে উঠতে গেলেই লাগছে 'ছ্যাঁকা'।
এক শ্রেণির যাত্রীদের অভিযোগ, অনেক সময় চালকেরা ফোন করে ভাড়ার অঙ্ক জানতে চাইছেন। বিভিন্ন সময়ে নির্দিষ্ট চালক ভাড়ার অঙ্ক শোনার পর সেই ট্রিপটি অন্য চালককে দিয়ে দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। অ্যাপ ক্যাব সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। সরকার কার্যত এই অ্যাপ ক্যাব গুলিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে এখনও 'ব্যর্থ' বলেই অভিযোগ।
আরও পড়ুন- পুজোর আগেই পুজোর মিছিল, প্রস্তুত কলকাতা, ‘কালারফুল’ পদযাত্রায় কী নির্দেশিকা নবান্নের?
তবে এক্ষেত্রে সরকারের সদ্বিচ্ছায় ঘাটতি নেই। চলতি বছরের মার্চ মাসে অ্যাপ ক্যাব সংস্থাগুলিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে একটি নির্দেশিকা জারি করে রাজ্য সরকার। যদিও বিষয়টি নিয়ে একটি অ্যাপ ক্যাব সংস্থার আদালতে দরবার করায় এখনও সেটি কার্যকর করা যয়ানি।
আরও পড়ুন- ‘ফাঁসানো হচ্ছে’, যে কোনও শর্তে জামিন চাইলেন পার্থ
এবিষয়ে সিটু নিয়ন্ত্রিত অ্যাপ ক্যাব চালক সংগঠনের সভাপতি ইন্দ্রজিৎ ঘোষ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, ''মার্চ মাসে রাজ্য সরকার ওই গাইডলাইনটি জারি করেছে। মে মাসেই ওই গাইডলাইন চালু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখনও সরকার চালু করেনি। আমাদের সংগঠনের তরফে গত ২৫ তারিখ পরিবহণ মন্ত্রীর কাছে ডেপুটেশন দিয়েছি । আমরা দ্রুত গাইডলাইনটি চালু করার জন্য বলেছি। এটা হলে ভাড়া রাজ্য সরকারই ফাইনাল করে দেবে। ২০ শতাংশের বেশি কোম্পানিগুলো কমিশন নিতে পারবে না, এটা বলা আছে। এখনও কোনও কোনও সংস্থা প্রায় ৩১-৩২ শতাংশ এমনকী ৫০ শতাংশও নেয়। তবে গাইডলাইন কার্যকর হলে ড্রাইভারদেরও লাভ হবে আবার যাত্রীদেরও ভাড়া কমে যাবে।''