দু'রাত পার হয়ে তিন দিনে পড়েছে ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন। চলছে অনশন। শুরু থেকেই ধরনা তুলতে চাপ দিয়েছে পুলিশ। পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল তো চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভকে 'ন্যায্য নয়' বলে ঘোষণা করে দিয়েছেন। কিন্তু, হকের চাকরি থেকে সরতে নারাজ আন্দোলনকারীরা। ফলে অসন্তুষ্ট প্রশাসন। প্রথমিকে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন তুলতে এবার তাই পাল্টা কৌশল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের।
চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলনের জেরে পর্ষদ কর্মীদের অফিসে ঢুকতে অসুবিধা হচ্ছে। ফলে একদিকে ব্যবত হচ্ছে কাজ, অন্যদিকেপর্ষদের কর্মীদের নিরাপত্তাও প্রশ্নের মুখে। এমনই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতির। এবার তাই টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান আন্দোলন তোলার আর্জি জানিয়ে পর্ষদের তরফে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানানো হয়েছে। পর্ষদের পক্ষে দ্রুত শুনানির দাবি জানানো হলেও তা অবশ্য খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিচারপতির বক্তব্য, 'এতদিন আন্দোলন চলছে, আর একদিন চললে এমন কি অসুবিধা হবে?'
আরও পড়ুন- ‘আদালতে যান’, টেট আন্দোলনকারীদের বললেন ব্রাত্য, পর্ষদ সভাপতির মতোই রাজনৈতিক অভিসন্ধির অভিযোগ
পর্ষদের পদক্ষেপ প্রসঙ্গে করুণাময়ীতে আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের বক্তব্য, 'মানিক ভট্টাচার্যের প্রতারণার শিকার আমরা। প্রতিবাদে ও হকের দাবি বুঝে নিতে রাস্তায় বসে আন্দলন করছি। বর্তমান পর্যদ সভাপতি গৌতম পালও একই পথে হাঁঠছেন। গতকাল তাঁর মন্তব্য সেটাই ইঙ্গিত করল। চাকরিপ্রার্থীরা প্রতারিত হয়েই চলেছে। বাংলার মানুষের কাছে ক্রমশ তা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে প্রশাসনের অসুবিধা হচ্ছে। এখন তাই আমাদের তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছে।'
আন্দোলনকারীদের দাবি নস্যাৎ করে মঙ্গলবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল বলেছিলেন, 'নিয়মের বাইরে কিছু করা যাবে না। চলতি বছরের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এঁদের অংশ নিতে হবে। আন্দোলনকারীরা কেউ প্যানেলভুক্ত হননি। ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের নিয়োগের দাবি আইনসম্মত নয়।'