সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলি চক্রবর্তী কি পরীক্ষা দিয়ে কলেজে চাকরি পেয়েছিলেন? নিয়োগ দুর্নীতি বিতর্কের মাঝেই বৃহস্পতিবার এই প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। আর এবার এই ইস্যুতে সরকারিভাবে মুখ খুললেন খোদ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। কার্যত হুঁশিয়ারির সুরেই সিপিআইএ নেতৃত্বকে সতর্ক করে দিয়েছেন মন্ত্রী। ব্রাত্য বসুর কথায়, 'নিয়োগ দুর্নীতির বীজ আগের আমলে রোপণ করা হয়েছিল। প্রয়োজনে সেগুলে ইডি বা সিবিআই-কে দিয়ে তদন্ত করা হোক। সিপিএম জমানায় কোন নেতার কোন আত্মীয় কোথায় কীভাবে চাকরি পেয়েছেন, তা নিয়ে তৃণমূল ১২ বছরে একটাও কথা বলেনি। কিন্তু সিপিএম যা শুরু করেছে তাতে এই ধরনের তালিকার তদন্তের ব্যাপারে তৃণমূলকে প্রোরোচিত করা হচ্ছে। আমি সিপিএমের বাড়ির লোকজনকে বলব, এলিট নেতা বা স্বামীদের বলুন, তাঁরা যেন কাচের ঘরে বসে ঢিল না ছোড়েন।'
এখানেই শেষ নয়। শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, 'এই সময় যাঁরা নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বেশি ভোকাল তাঁদের পরিবারের কে বা কারা চাকরি পেয়েছেন তা আমরা সব খতিয়ে দেখব। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এই নিয়ে কথা বলব।'
মন্ত্রীর সাফ কথা, 'যে প্রৌঢা সম্পর্কে বলা হচ্ছে তাঁকে আমি ব্যক্তিগভাবে চিনি না। হতে পারে তিনি আমার বিরোধী কিন্তু আমার শত্রু নন, আমি তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় আছে কিনা জানি না। শুনেছি ১৯৮৭ সালে তিনি যখন চাকরি পান তখন দক্ষিণ ২৪ পরগনায় পার্টির মধ্যেই তুমুল বিতর্ক হয়েছিল। দোর্দগন্ডপ্রতাপ নেতা শান্তিময় ভট্টাচার্যের মেয়ের চাকরি কিভাবে হল তা নিয়ে হইচই হয়। সেই সময় কোনও কোনও খবরে কাগজে এই নিয়ে লেখাও বেরোয়। দলকে বলেছি কাটিংগুলো বার করতে। আমি এসব না জানলেও জানি যে উনি আমার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সরকারি কর্মী ছিলেন। এখন তিনি অবসরপ্রাপ্ত প্রৌঢ়া। ফলে এরপে তাঁর যদি কোনও সামাজিক বিড়ম্বনা হয় তাহলে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। এবং আরৎো অজশ্র সিপিএম বাড়ির লোকজনকে বলছি- ক্লিনিক্যালি য়াঁরা কুৎসাকারী, নারীবিদ্বেষী, ক্ষমতা পেতে মরিয়া সেই সব এলিট পিতা বা নেতাদের বোঝান-কাঁচের ঘরে বলে আর ঢিল ছুড়বেন না। গত ৫০ বছর ধরে এটা চলে আসছে। এই মুষলপর্ব এবার বন্ধ হোক।'
এদিন সিপিআইএম-কে কোনও দল বলে মানতে চাননি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, 'সিপিএম রাজনৈতিক দল নয়। একটা সভা। অ্যাটিটিউড, যার প্রধান লক্ষণ কাজ না করে বড় বড় কথা বলা। অন্যের কাজে খুঁত ধরা। এই কুৎসা করার ট্র্যাডিশনে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্ল সেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীও রয়েছেন এবং বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও একই কাজ করে যাচ্ছে।'