আরবিয়ান খেজুরের চাষ করে সাফল্যের পথ দেখাচ্ছেন মালদার আদিবাসী অধ্যুষিত বামনগোলা ব্লকের খিড়িপাড়া এলাকার প্রান্তিক কৃষক অরিন্দম রায়। নিজের কয়েক বিঘা জমিতে প্রায় ৬০০ খেজুর গাছ লাগিয়ে কয়েক কুইন্টাল আরবিয়ান খেজুর উৎপাদন করেছেন অরিন্দমবাবু। আরবিয়ান খেজুরের এরকম উৎপাদন দেখে রীতিমতো হতচকিত হয়ে পড়েছেন জেলা উদ্যান পালন দফতরের কর্তারা। আর অরিন্দম রায়কে দেখে এখন সংশ্লিষ্ট এলাকার অন্যান্য কৃষককরাও এই ধরণের খেজুরের চাষ করতে আগ্রহী।
Advertisment
এদিকে ফল ব্যবসায়ীদের একাংশের বক্তব্য, বামনগোলার উৎপাদিত আরবিয়ান খেজুরের স্বাদেগুনের মান যদি খুবই ভালো থাকে, তাহলে ভিন দেশ বা দেশি খেজুর আমদানিতে আর নির্ভর করে হবে না। চাহিদা বাড়লে এই ফলের আমদানি মালদা থেকেই অনায়াসে মিলবে।
ফলের রাজা আম। আর স্বাদেগুনে মালদা আম জগৎ বিখ্যাত। কিন্তু এবার বামনগোলা ব্লকের নাম ছড়াচ্ছে আরবিয়ান খেজুর উৎপাদনে। বামনগোলা ব্লকের পাকুয়াহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের খিরিপাড়ায় আরবিয়ান খেজুরের চাষ করে তাক লাগিয়েছেন অরবিন্দ রায়।
পাকুয়াহাট এলাকার বাসিন্দা অরিন্দম রায় জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন আগেই এই আরবিয়ান খেজুর চাষের জন্য অনলাইনের মাধ্যমে নানান বিষয়গুলি খতিয়ে দেখেন। তারপর পরিকল্পনা করে বাইরে থেকে চারাগাছ নিয়ে এসে নিজের নিজের প্রায় ১০ বিঘা জমিতে ওই আরবিয়ান খেজুরে চাষ করার পরিকল্পনা নেন। পরে তিনি খিরিপাড়া এলাকায় নিজস্ব জমিতে প্রায় ৬০০ গাছ লাগিয়ে ওই আরবিয়ান খেজুরের চাষ শুরু করেন। কয়েক বছরের মধ্যে গাছ বড় হতেই এখন ধরতে শুরু করেছে আরবিয়ান খেজুর। অরবিন্দবাবু আরো জানান, আরবিয়ান খেজুরে বর্তমানে মালদা জেলার অন্য কোনও জায়গায় চাষ হয় না। একমাত্র বামনগোলা ব্লকের এই আরবিয়ান খেজুরের চাষ শুরু হয়েছে।
আরাবিয়ান খেজুরের বর্তমান বাজার মূল্য প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ২০০০ টাকা। যা মূলত বাইরে থেকে আমদানি হয়ে থাকে, মালদা এই ফলের আমদানি হলে অনেক সস্তাতেই ক্রেতারা আরবিয়ান খেজুর কিনতে পারবেন। স্বল্প খরচে অধিক লাভ রয়েছে এই খেজুর চাষে। ফলে অন্যান্য চাষীদের আগ্রহ বাড়াতেও উদ্যোগী বামনগোলার খেজুর চাষী অরবিন্দ রায়।