আসন্ন পঞ্চায়েতে প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। তবে ভোট-যুদ্ধ আর দেখে যেতে পারলেন না সুমিত্রা দাস (৪২)। বেড়াতে গিয়ে রেল দুর্ঘটনায় মারা গেলেন আরামবাগের সিপিএম প্রার্থী সুমিত্রা। আরামবাগ ব্লকের গৌরহাটি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে তিনি সিপিএমের হয়ে ভোটে লড়ার টিকিট পেয়েছিলেন। তাঁর এই আচমকা মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
সুমিত্রা দেবীর দুই মেয়ে এবং দুই যমজ ছেলে। তাঁর ছোট মেয়ে শিল্পা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার বিকেলে। সোমবার ছিল গুরুপূর্ণিমা। সুমিত্রা ছিলেন অনুকূল ঠাকুরের শিষ্যা। কয়েকজন গুরুভাই ও বোনকে নিয়ে রবিবার নামখানার কাছে গুরুদেবের আশ্রমে যান সুমিত্রা। পরিকল্পনা ছিল গুরুপূর্ণিমাতে পুজো দিয়ে বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু তা আর হল না। গতকাল বিকেলে এক গুরুভাই ফোন করে শিল্পাকে জানান তাঁর মা দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।
আরও পড়ুন- ‘খেলায় যেই জিতুক ট্রফি ঘরেই থাকবে’,পঞ্চায়েতে ‘ঐতিহাসিক লড়াই’ দেখার অপেক্ষায় বাংলা!
এই খবর শুনে দাস পরিবার হতচকিত হয়ে যায়। খবর যায় সিপিএম কার্যালয়ে। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় সবাইকে নিয়ে আরামবাগ থানায় যান। সেখানকার আই সি বরুণ ঘোষকে সব কথা জানালে আইসি নিজে উদ্যোগী হয়ে জানতে পারেন, শিয়ালদহ- নামখানা লাইনে সিংহের হাট রেল স্টেশনের লেভেল ক্রসিং পেরোতে গিয়ে চলন্ত ট্রেনের সামনে পড়ে যান সুমিত্রা।
অনুমান, কানে হেডফোন ছিল। তাই পিছন থেকে ট্রেন আসার আওয়াজ তিনি শুনতে পাননি। সুমিত্রা দেবীর মৃতদেহ রেল পুলিশ নিয়ে যায়। সিপিএম নেতা পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় জানান, আই সি ডি এস কর্মী সুমিত্রা সিপিএমের সক্রিয় সদস্যা না হলেও তাঁর স্বামী প্রয়াত উত্তম দাস দলের পুরোনো সদস্য ছিলেন। পঞ্চায়েতের উপপ্রধানও ছিলেন বাম আমলে। কিন্তু বছর দুয়েক আগে তাঁর মৃত্যু হয়। এবার চলে গেলেন সুমিত্রাও।
আরও পড়ুন- প্রতি বুথে থাকুক আধাসেনা, প্রস্তাব এবার প্রধান বিচারপতির
মঙ্গলবার দুপুরে বারুইপুর হাসপাতালে তাঁর ময়নাতদন্ত হচ্ছে। ময়না তদন্তের প্রক্রিয়া শেষ হলে এদিন সন্ধেয় পরিবারের হাতে মৃতদেহ তুলে দেওয়া হবে। সুমিত্রার নিকট আত্মীয়া আরামবাগের তৃণমূল পরিচালিত মায়াপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান। তিনিও অনুগামীদের নিয়ে আত্মীয়ার দেহ আনতে গিয়েছেন।