এবার পায়ে হেঁটেই রাম মন্দিরে 'গোলাপ সুন্দরী'। বাল্যবিবাহ বন্ধে অভিনব ভাবনা আরামবাগের শিক্ষকের।
বাল্য বিবাহ বন্ধে অভিনব প্রচার খানাকুলের মাজপুর প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক দেবাশীষ মুখোপাধ্যায়ের। বিগত বেশ কয়েকবছর ধরেই বাল্যবিবাহ বন্ধে তার প্রচারের অভিনবত্ব নজর কেড়েছে সমাজের সকল স্তরের মানুষের। এবার পায়ে হেঁটে সোজা অযোধ্যার রাম মন্দিরের গিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধের পাশাপাশি শিশু নির্যাতন বন্ধে অভিনব প্রচার করলেন আরামবাগের শিক্ষক। মহিলাদের পোশাক পরে, পায়ে ঘুঙুর বেঁধে, নেচে-নেচে, ছড়া বলে অভিনব কায়দায় প্রচার করে সামাজিক নানান ব্যাধি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করে চলেছেন তিনি। আর এবার বাল্য বিবাহ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে সরাসরি তিনি হাজির হলেন রামমন্দিরে।
১২ ই জানুয়ারি খানাকুল থেকে পায়ে হেঁটে যাত্রা শুরু করেন তিনি। দীর্ঘ ১৮ দিনের কঠোর পরিশ্রম শেষে অবশেষে লক্ষ্যভেদ। রাম লালার দর্শন করে হাতে ব্যানার নিয়ে ঘুরে বেড়ান গোটা মন্দির চত্ত্বর। যদিও এর আগেই দিল্লির সংসদ ভবন বা দার্জিলিং ছুটে বেড়িয়েছেন একই বার্তা দিতে। এবার রাম মন্দিরে প্রাঙ্গনে এসেও দিলেন সেই বার্তাই। কিন্তু হঠাৎ করে বাল্য বিবাহ বন্ধের বার্তা দিতে রাম মন্দিরে কেন? শিক্ষক দেবাশীষ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, " এর আগেও আমার এই বিশেষ বার্তা সমাজের সামনে তুলে ধরতে জনবহুল স্থানকেই বেছে নিয়েছি। আর এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। রাম মন্দিরে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লাখ লাখ মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন। এর মাঝে এই বার্তা সহজেই সকলের কাছে তিনি পৌঁছাতে পারবেন বলেই তাঁর ধারণা'।
গোলাপ সুন্দরী সেজে তাঁর প্রচার ইতিমধ্যে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত পেরিয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছে রাজ্য জুড়ে। এবার রাম মন্দিরে সমাজ সচেতনতার বার্তা দিতে পেরে বেজায় খুশি এই শিক্ষক। দেবাশীষ বাবু বলেন, " বাল্য বিবাহ এক সামাজিক ব্যধি। আইন থাকা সত্ত্বেও বাল্য বিবাহ আজও বন্ধ করা যায়নি। বাল্য বিবাহ রুখতে চাই প্রকৃত সচেতনতা। তাই মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যেই কাজ করে চলেছি"।