West Bengal Horror: আড়িয়াদহ-কাণ্ডে জয়ন্ত সিংয়ের একটি ভাইরাল ভিডিও ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল।
Ariadaha Jayanta Singh incident: আড়িয়াদহে জয়ন্ত সিং-কাণ্ডে আরও গ্রেফতারির সম্ভাবনা রয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইন শৃঙ্খলা) মনোজ বর্মা। তার মধ্যেই শুক্রবার জয়ন্ত সিং ওরফে জায়ান্টকে নিয়ে তার খাসতালুক তালতলা ক্লাবে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করল ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ। সঙ্গে ছিল, জয়ন্তর ধৃত দুই শাগরেদও। জয়ন্ত ওরফে জায়ান্টকে পুলিশ নিয়ে যাওয়ার, অভিযুক্ত সাংবাদিকদের সঙ্গে অভব্যতা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। হাত দিয়ে সাংবাদিকদের বুম ঠেলে সরিয়ে দিতে দেখা গিয়েছে জয়ন্তকে। আবার, তারই মধ্যে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছেন জয়ন্ত। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, চ্যাংদোলা করে ক্লাবে তুলে এনে মারধর করেছেন কেন? জবাবে জয়ন্ত পালটা প্রশ্ন ছুড়ে দেন, 'আমাকে কি এসব করতে দেখেছিলেন? যে ছিল, সে শাস্তি পাবে।'
Advertisment
কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের সঙ্গে জয়ন্তর ছবি নিয়ে বিরোধীরা সরব। এই প্রসঙ্গেও মুখ খুলেছেন জয়ন্ত। তিনি বলেছেন, 'মদন মিত্রের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। নেতাদের সঙ্গে ওই রকম ছবি সবারই থাকে। তেমনটাই ছড়িয়ে পড়েছে।' স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, তালতলা ক্লাব ছিল জয়ন্তর অঘোষিত আদালত। তালতলার ওই ক্লাব পুলিশ ইতিমধ্যেই সিল করে দিয়েছে।
Ariadaha Lynching Case: আড়িয়াদহে জয়ন্ত সিং-কাণ্ডে আরও গ্রেফতারির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন পুলিশকর্তা। (প্রতীকী ছবি)
Advertisment
সম্প্রতি আড়িয়াদহে এক ব্যক্তি ও তাঁর মাকে রাস্তায় ফেলে পেটানোর অভিযোগ ওঠে জয়ন্ত সিং ও তাঁর শাগরেদদের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগে জয়ন্ত ও তাঁর শাকরেদদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার মধ্যেই গত সোমবার রাতে এক যুবক-যুবতীকে মারধরের ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। যা দেখিয়ে অভিযোগ ওঠে, তালতলা ক্লাবে ওই যুবক-যুবতীকে চ্যাংদোলা করে তুলে এনে লাঠিপেটা করা হয়েছিল। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ২০২১ সালে আড়িয়াদহের বাসিন্দা রাহুল গুপ্তের বাড়িতে চুরি হয়েছিল। তাতে জড়িত সন্দেহে ওই যুবক-যুবতীকে তালতলা ক্লাবে নিয়ে এসেছিলেন রাহুল গুপ্ত। সেখানে ওই যুবক-যুবতীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
এই ভিডিও ঘিরে ইতিমধ্যেই উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজ্য-রাজনীতি। ইতিমধ্যেই জয়ন্ত-সহ ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার জয়ন্তকে ব্যারাকপুর আদালতে হাজির করেছিল পুলিশ। বিচারক আপাতত ধৃতদের ছ'দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। রাজ্যের শাসকদলের পালটা অভিযোগ, তৃণমূলের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে ২০২১ সালের এক ভিডিও প্রকাশ্যে এনে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।