Ariadaha Lynching Case: আড়িয়াদহ কাণ্ডে অবশেষে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী জয়ন্ত সিং। এই নিয়ে আড়িয়াদহে গণপিটুনিকাণ্ডে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৯। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ডানলপ ISI-এর কাছ থেকে মূল অভিযুক্ত জয়ন্তকে গ্রেফতার করেছে বেলঘরিয়া থানার পুলিশ।
আড়িয়াদহে মা ও ছেলেকে মারধরের ঘটনার চার দিনের মাথায় গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত জয়ন্ত সিং। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে জয়ন্তকে গ্রেফতার করেছে বেলঘরিয়া থানার পুলিশ। ধৃতকে গ্রেফতারের পর থেকে চলছে দফায় দফায় জেরা। এদিকে, জয়ন্তর গ্রেফতারি নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে উঠেছে। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের কথায়, "হাত-পা বাঁধা পুলিশ সীমিত ক্ষমতায় গ্রেফতার করেছে।" বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, "এটা আসলে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দেখানো হলো। শাহজাহান-জয়ন্তরা তৃণমূলের ভরসা।" জয়ন্তদের মাথায় নেতাদের প্রশ্রয়ের হাত রয়েছে, এমনই অভিযোগ কংগ্রেসের।
তবে জয়ন্তর গ্রেফতারি পুলিশি সক্রিয়তারই ফল বলে মনে করেন তৃণমূল নেতা শান্তনু সেন। তিনি এদিন সংবাদমাধ্যমে বলেন, "পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ অপরাধীদের ধরার ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে। এই ঘটনা এটাই প্রমাণ করল। পায়ের তলার মাটি সরে যাওয়ায় পাগলের প্রলাপ বকছেন বিরোধীরা।"
আরও পড়ুন- Ariadaha Lynching Case: আড়িয়াদহের “জায়ান্ট” সিং বাহুবলী অধরাই, অত্যাচারী লেখা ছবি সহ পোস্টার “গুন্ডারাজ নিপাত যাক”
উল্লেখ্য, আড়িয়াদহের নৃশংস মারধরের ঘটনা কতটা সামনে আসতেই পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। এর আগেও বহুবার মারধর, মাস্তানির অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কর্মী জয়ন্ত সিংয়ের বিরুদ্ধে। তদন্তে নেমে ৮ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও ছেলে ও মাকে বেধড়ক মারধরের ঘটনায় জয়ন্ত সিং অধরা থাকায় ক্ষোভ বাড়ছিল।
আরও পড়ুন- Nabanna initiative on Lynching: গুজবে দিকে দিকে গণপিটুনি! মারাত্মক প্রবণতা রুখতে ভীষণ কঠিন পদক্ষেপ নবান্নের