যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় এবার ডিএসএফ নেতা অরিত্র মজুমদারকে তলব করা হল। বুধবার সকাল ১১টায় তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি। যাদবপুরের প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুতে অরিত্র মজুমদার ওরফে 'আলু'র ভূমিকা এখন আতসকাচের তলায়। মর্মান্তিক ওই কাণ্ডের ঠিক পরপরই 'আলু' কার্যত উধাও হয়ে গিয়েছিলেন। সেই কারণে আরও বেশি করে তাঁর উপরেই নজর পড়ে। ছাত্র মৃত্যুতে অরিত্রর নামও জড়িয়েছে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টে গবেষণা করছেন অরিত্র মজুমদার নামে ওই ছাত্র। তাঁরই ডাক নাম 'আলু'। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর যোগ রয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। সেই কারণে এবার অরিত্রকে ডেকে পাঠিয়ে তাঁকে বিশদে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ছাত্র-মৃত্যু নিয়ে তৈরি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি। জানা গিয়েছে, অরিত্র ওরফে 'আলু'কে হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইমেল করে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন- যাদবপুরকাণ্ডে বিস্ফোরক প্রবল চর্চায় থাকা সেই ‘আলু’, কী বললেন?
উল্লেখ্য, গত ৯ অগাস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের। র্যাগিংয়ের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ ওঠে। ইতিমধ্যেই ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ বিশ্ববিদ্যলয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান পড়ুয়া মিলিয়ে মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় নাম জড়িয়েছে যাদবপুরে গবেষণারত অরিত্র মজুমদার ওরফে 'আলু' নামে ওই ছাত্রেরও। ঘটনার পর থেকেই তিনি ছিলেন বেপাত্তা। যদিও এই ঘটনায় তাঁর কোনও যোগ নেই বলে এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি দীর্ঘ পোস্ট করে দাবি করেছেন অরিত্র মজুমদার।
আরও পড়ুন- আরও কোণঠাসা কৌস্তভ’রা, অধীরের পথেই দীপা! কংগ্রেস-তৃণমূল সমঝোতা নিয়ে কী বলছেন?
তাঁর বিরুদ্ধ ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে অরিত্র মজুমদার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘৯ আগস্ট রাতে আমি যাদবপুরের মেন হোস্টেলে ঢুকিইনি। এমনকী, তার আগের বেশ কিছুকাল আমি হোস্টেলে যাইওনি। আমি সেই রাতে কেপিসি হাসপাতালেও গিয়ে উঠতে পারিনি। ফলে, গোটা অভিযোগটাই অবান্তর। আশা করি, তদন্ত করলে এই কথা সহজেই প্রমাণ হবে।’