ভর সন্ধ্যায় ব্যারাকপুরের আনন্দপুরীতে স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় বনধ চলছে। তার মধ্যেই এলাকায় দুষ্কৃতী-তাণ্ডব নিয়ে পুলিশকে দায়ী করে বিস্ফোরক সাংসদ অর্জুন সিং। বৃহস্পতিবার টিটাগড় থানার পিসি পার্টিকে কাঠগড়ায় তুলেছেন ব্যারাকপুরের সাংসদ। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট হওয়ার পর থেকেই জনপ্রতিনিধিদের গুরুত্ব দেওয়া হয় না বলে তোপ দেগেছে অর্জুন।
কী বলেছেন অর্জুন সিং?
আনন্দপুরীতে স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সাংসদ অর্জুন সিং। তাঁর কাঠগড়ায় টিটাগড় থানার পিসি পার্টি। সাংসদ বলেন, 'এলাকার অপরাধ ও অপরাধীদের সম্পর্কে সঠিক তথ্য নিচুতলা থেকে পুলিশের উপর তলায় পৌঁছচ্ছে না। থানা স্তরের পিসি পার্টির সঙ্গে স্থানীয় দুষ্কৃতীদের অসাধু সম্পর্ক থেকে যাচ্ছে। যার ফলে এলাকায় এলাকায় অপরাধ থামছে না।'
অর্জুন সিংয়ের কথায়, 'আগে পুলিশ জনপ্রতিনিধিদের থেকে নিয়মিত রিপোর্ট নিত। কিন্তু ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট হওয়ার পরে এখন আর জনপ্রতিনিধিদের থেকে সেই রিপোর্ট সংগ্রহ করে না পুলিশ। ফল যা হওয়ার হচ্ছে।'
ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য বন্ধে সাংসদের বার্তা, 'এখানে অপরাধ কমাতে গেলে ছোট বড় সমস্ত দুষ্কৃতীদের গণহারে গ্রেফতার করে জেলবন্দি করতে হবে।' পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ থাকায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকেও প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে বলে দাবি অর্জুন সিংয়ের। এতে দলের ক্ষতি হবে বলেই মত তাঁর।
ব্যারাকপুরের আনন্দপুরীরতে বুধবার ভরসন্ধেবেলা সোনার দোকানে হানা দেয় ডাকাতদল। ডাকাতিতে বাধা দেওয়ায় গুলি করে মারা হয় স্বর্ণ ব্যবসায়ী নীলাদ্রি সিংহকে। গুলিতে জখম হন নীলাদ্রির বাবা নীলরতন সিংহ ও দোকানের আরও এক কর্মচারি। বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় চলছে গোটা এলাকায়।