Barrackpore lok Sabha Constituency 2024: আর রাখঢাক নয়। ভোটযুদ্ধে ব্যারাকপুর থেকেই তিনি ফের প্রার্থী হচ্ছেন বলে ঘোষণা করে দিলেন বিদায়ী সাংসদ অর্জুন সিং। বুধবারই ওই কেন্দ্র তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিককে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন অর্জুন। তৃণমূল তাঁকে এবার প্রার্থী করেনি। তারপর থেকেই বেসুরো অর্জুন সিং। তাঁর কার্যলয় থেকে সরানো হয়েছে মমতা-অভিষেকের ছবি। বদলে লাগানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদীর ছবি। তাহলে কি আবারও পদ্ম প্রতীকেই ব্যারাকপুরের প্রার্থী অর্জুন? এ প্রসঙ্গে কিছু খোলসা করেননি একাধিকবার দলবদলু এই সাংসদ। এদিন শিলিগুড়িতে অর্জুন সিংয়ের পদক্ষেপ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কী বলেছেন অর্জুন সিং?
বুধবার নিজের প্রার্থী হয়ে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রসঙ্গে অর্জুন সিং বলেছেন, 'ব্যারাকপুর আমার জায়গা। আমি ব্যারাকপুরের লোকের জন্য ৩৬৫ দিন দিনরাত রাজনীতি করি। ব্যারাকপুরের লোকের জন্য সব সময় আছি। ব্যারাকপুরবাসীর জন্যেই চিরকাল থাকব। পার্থ ভৌমিকের বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়াব এটা নিশ্চিত। ওঁর সিন্ডিকেট ভাঙব।'
আরও পড়ুন- Mamata Banerjee: ভাইয়ের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতার! ভয়ঙ্কর অভিযোগ ‘দিদি’র
তাঁর বিজেপিতে ফের যোগদান নিয়ে ব্যারাকপুরের বিদায়ী সাংসদের দাবি, 'বিনা টিকিটে ছোটবেলা থেকে ট্রেনে উঠিনি কোনও দিন। ভোটে কেন কোনও দলের টিকিট না নিয়ে লড়ব? দলের হয়েই লড়ব। কোন দল তা আপনারা কিছু দিনের মধ্যেই জানতে পারবেন।'
আদৌ জিতবেন অর্জুন? তাঁর দাবি, ' আগেরবারের চেয়ে বেশি ব্যবধানে জিতব। বাবা, মা যখন অর্জুন নাম রেখেছেন, লক্ষ্যভেদ তো হবেই।'
মমতার জবাব-
জোড়-ফুলের টিকিট না পেয়ে অর্জুন রাজ্যের শাসক শিবিরের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে 'প্রতারণা'র অভিযোগ তুলেছেন। যানিয়ে এদিন শিলিগুড়িতে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেছেন, 'ও এখনও বিজেপি টিকিটে জেতা সাংসদ। ও কী করবে না করবে সেটা ওর বিষয়।' অর্থাৎ অর্জুনকে তৃণমূলের একজন বলে মানতে চাননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- Babun Banerjee: ‘দিদি’ মমতার কড়া সিদ্ধান্ত, নিমেষে ভোলবদল ‘ভাই’ বাবুনের
যার পাল্টা অর্জুন সিং বলেন, 'উনি আমাকে বিজেপি বলেছেন এ জন্য ওনাকে স্যালুট। কীভাবে একজন বিজেপি সাংসদ ব্রিগেডে তৃণমূলের মঞ্চে দল ঘোষণার মঞ্চে গিয়ে বলে রইল সেটাই প্রশ্ন। যাই হোক লড়াই হবে। আমিই জিতব।'
উল্লেখ্য, অর্জুন সিংকে ২০২২ সালে বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফেরানো হয়েছিল। তাঁর গলায় উত্তরীয় পরিয়ে দিয়েছিলেন খোদ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত ভোটেও শাসক দলের হয়েই প্রচার করেছিলেন সাংসদ।