প্রায় ১০ মাস ধরে জেলবন্দি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। সাধারণত প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় 'ঘনিষ্ঠ' অর্পিতাকে ভার্চুয়ালভাবেই কোর্টের পেশ করা হয়। নিরাপত্তার কারণেই এই পদক্ষেপ করা হয়। কিন্তু এদিন সেই ধারার ব্যতিক্রম ঘটেছে। গত আগাস্টের পর সোমবার আলিপুর আদালতে সশরীরে হাজির করানো হয় অভিনেত্রী-মডেল অর্পিতাকে। এদিন অর্পিতা দেখেই পুলিশের প্রিজন ভ্যান ঘিরে ভিড় জমে যায়। তাঁর দুটি ফ্ল্যাট থেকে পাওয়া ৫০ কোটির বেশি অর্থ আসলে কার? এই প্রশ্ন করতে থাকেন সাংবাদিকরা।
Advertisment
এরপরই প্রিজন ভ্যানের দরজা খোলে। বেরিয়ে আসেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। দেখা যায়, আপাদমস্তক ঢাকা শরীর। মুখে মাস্ক। পুলিশ কর্মীদের হাত ধরে প্রিজন ভ্যান থেকে নামেন তিনি। সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলেও কোনও জবাব দেননি পার্থ 'ঘনিষ্ঠ' অভিনেত্রী। উল্টে হনহন করে কোর্টের মধ্যে চলে যান অর্পিতা।
শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত করছে সিবিআই। আর্থিক লেনদেনের বিষয় থাকায় সমান্তরালভাবে তদন্ত শুরু করে ইডি-ও। এরপরই রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর 'ঘনিষ্ঠ' অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের হরিদেবপুর ও বেলঘরিয়ায় ফ্ল্যাটে হানা দেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। দুটি ফ্ল্যাট মিলিয়ে উদ্ধার হয় ৫০ কোটি টাকার বেশি নগদ, সোনার গয়েনা সহ মূল্যবান সব জিনিস, নথি। কোথা থেকে অর্পিতার ফ্ল্যাটে এত টাকা এলো তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি অভিনেত্রী। তারপরই তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। গ্রেফতার করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও। তারপর থেকে তাঁরা জেলে।
কোথা থেকে পেলেন এত টাকা? আদালতে পেশের সময় এর আগে অর্পিতা দাবি করেছিলেন যে, তাঁকে 'ফাঁসানো' হচ্ছে। ওই টাকা তাঁর নয়। পরে বলেছিলেন যে, 'আপনার কি মনে হয় না, একজন মহিলাকে আটকে রেখে তাঁর সামাজিক মর্যাদা নষ্ট হচ্ছে? আমি অত্যন্ত উচ্চ বংশের মেয়ে। আমার মা অসুস্থ। তাঁর পাশে থাকতে হবে।' টাকা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় মাস কয়েক আগেই বলেছিলেন যে, 'খুঁজে বার করুন টাকা কার।'