বিরাট ধাক্কা খেল বিজেপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল আলিপুরদুয়ার আদালত। কোনও রাজনৈতিক বিষয় নয়। ২০০৯ সালে দুটি সোনার দোকানে চুরির ঘটনায় এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। নিশীথ প্রামাণিক বর্তমানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। বিজেপির অন্যতম শীর্ষ নেতা অমিত শাহর ডেপুটি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। সেই নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধেই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
মঙ্গলবার নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারির পরোয়ানা জারি হওয়ার খবর সংবাদমাধ্যমকে জানান আলিপুরদুয়ার আদালতের সরকারি আইনজীবী প্রশান্তনারায়ণ মজুমদার। তিনি বলেন, 'আলিপুরদুয়ার জুডিশিয়াল থার্ড কোর্ট নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। এই মামলাটা বারাসত আদালতে চলে গিয়েছিল। ফের কেসটা আলিপুরদুয়ার আদালতে ফেরত এসেছে। গত ১১ নভেম্বর এই মামলায় অন্যান্য অভিযুক্তরা জামিনের আবেদন করেছেন। কিন্তু, নিশীথ প্রামাণিকের হয়ে কেউ আদালতে আবেদন করেননি। তাই আদালত নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।'
আরও পড়ুন- শুভেন্দুর মানসিক অবস্থা ঠিক নেই, উদাহরণ তুলে যুক্তি অভিষেকের
সরকারি আইনজীবী আরও জানান, ২০০৯ সাল থেকেই নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে এই মামলা চলছে। ইতিমধ্যে মামলার ১৩ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই মামলার নম্বর জিআর৭৩/০৯। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৮০, ৪১১, ৪৫৭, ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয়, জিআর১০৪০/০৯-এর আরেকটি মামলাতেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
সেখানে ৩৯৭, ৪১১, ৪৬১, ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। নিশীথ প্রামাণিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার পাশাপাশি বর্তমানে কোচবিহারের সাংসদ। তাঁর সুবিধার জন্য মামলাটি বারাসত আদালতে চলে গিয়েছিল। কিন্তু, হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলা আবার আলিপুরদুয়ার আদালতে ফিরে এসেছে। তারপরই দ্রুত মামলার নির্দেশ জারি হল।
তবে, আইনজীবী মহলের একাংশের দাবি, নিম্ন আদালত নির্দেশ দিলেও, নিশীথ প্রামাণিককে এই মুহূর্তে গ্রেফতার করতে পারবে না পুলিশ। এজন্য কেন্দ্রীয়স্তর থেকে বিভিন্ন জায়গায় অনুমতি নিতে হবে। তার মধ্যেই হাইকোর্টে এই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করতে পারেন কোচবিহারের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক।