মুর্শিদাবাদ ও এর্নাকুলাম থেকে আল-কায়দা জঙ্গি সন্দেহে ধৃত ৯ জন কি সিএএ বিরোধী আন্দোলনেও যুক্ত ছিল? কাশ্মীরে কাদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ রাখত ধৃতরা, এসবের খোঁজেই টানা জেরা করে যাচ্ছেন এনআইএ গোয়েন্দারা। কাশ্মীরে বেশ কিছু সন্দেহভাজন মুর্শিদাবাদের আবু সুফিয়ানদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বলে তদন্তে উঠে এসেছে। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ চ্যাটেই সে তথ্য পেয়েছে এনআইএ।
জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের ছয়জন সম্প্রতি সন্ত্রাসী দলে নাম লিখিয়েছিল। কিন্তু আন্তঃরাজ্য জঙ্গি মডিউলের জাল কাটতে ও নাশকতার ছক বানচাল করতে এই ছয়জনকে জেরা করে সূত্র খুঁজছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। উল্লেখ্য, পেশায় কাঠমিস্ত্রি আবু সুফিয়ানের বাড়িতে অস্ত্র তৈরির কারখানার হদিশে পেয়েছেন গোয়েন্দারা। তার রানিনগরের বাড়িতে আগেই একটি বাঙ্কারের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। সেখানে বসে ভার্চুয়ালি সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখত আবু সুফিয়ান।
আরও পড়ুন বাংলায় আল-কায়দার বিস্তারের পিছনে সক্রিয় জেএমবি, মনে করে এনআইএ
ইতিমধ্যেই ধৃতদের বাড়ি থেকে প্রচুর পরিমাণ বাজি, বোমা তৈরির সরঞ্জাম পেয়েছেন গোয়েন্দারা। তদন্তকারী সংস্থার তদন্তে উঠে এসেছে, বাজি থেকে পটাশিয়াম বের করে নিয়ে আইইডি তৈরির কাজে ব্যবহার করতে ধৃতরা।