Advertisment

সৃষ্টি আর আবেগ মিলেমিশে একাকার, তাক লাগানো শিল্পকর্মে সেরার সেরা স্বীকৃতি বাংলার যুবকের

সেরার সেরা স্বীকৃতি বাংলার যুবকের।

author-image
Sayan Sarkar
New Update
Artist kaushik dey, birbhum,

কৌশিক দে

রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে বাঙালির আবেগ চিরন্তন। আর সেই আবেগ ও ভালবাসাকে সম্মান দিয়েই বীরভূমের কৌশিক দে আঁকলেন ৩০ ফুটের সর্ববৃহৎ রবীন্দ্রনাথের প্রতিকৃতি। তাক লাগানো এমন শিল্পকর্মকে স্বীকৃতি দিয়েছে ‘ইণ্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড’স। নিজের প্রতিভার এমন স্বীকৃতিতে ভবিষ্যতে আরও বড় কিছু অর্জনের আশায় বুক বেঁধেছেন গুণী শিল্পী কৌশিক দে।

Advertisment

মাত্র ২ বছর বয়সেই আঁকায় হাতেখড়ি। গ্রামের শিক্ষক প্রণব অধিকারী কাছে শেখা আঁকার প্রাথমিক শিক্ষা। তবে শারীরিক কিছু সমস্যা থাকায় তা চালিয়ে যেতে পারেননি তিনি। তবে আঁকার প্রতি অদম্য ঝোঁক আর নতুন কিছু সৃষ্টির নেশা সব সময় তাড়া করে বেড়াত কৌশিককে। ৫ দিনের হাল না ছাড়া চেষ্টায় ‘সেরার সেরা স্বীকৃতি’ আদায়ে রীতিমত আপ্লূত কৌশিক।

বোলপুরের বাহিরী গ্রামের বাসিন্দা কৌশিক। সদ্য বোলপুর কলেজ থেকে স্নাতক হয়েছেন তিনি। ছবি আঁকার পাশাপাশি পড়াশুনাতেও ছোট থেকেই ভাল কৌশিক। বাহিরী ব্রজসুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে বোলপুর কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক হন কৌশিক। একই সঙ্গে তিনি চালিয়ে যেতে থাকেন নিজের পছন্দের আঁকাও। তবে সেই আঁকাতেই যে তার ভারত জোড়া নাম হবে সেকথা তিনি ঘুণাক্ষরেও ভাবতে পারেননি তিনি। ৩০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ১৮ ফুট প্রস্থ বিশিষ্ট রবীন্দ্রনাথের যে প্রতিকৃতি কৌশিক এঁকেছেন তা তাকে দিয়েছে ভারত জোড়া খ্যাতি।  

টানা ৫ দিনের চেষ্টায় ১৩০টি আর্ট-পেপারকে একের পর এক আঠা দিয়ে সেঁটে স্কেচ করে ওয়েদার কোট রঙ ব্যবহার করে তিনি এঁকেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সর্ববৃহৎ ছবিটি৷ টেঁকসই করার জন্য পিছনে দিতে হয়েছে শাড়িও। একাজে কৌশিকে সাহায্য করেছেন তারই পরিবারের সদস্যরা।

কৌশিক নিজের সেরা সৃষ্টি সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন, “ ছোট থেকেই আমার আঁকার প্রতি এক গভীর ভালবাসা। সবসময় নতুন কিছু করার চেষ্টা থাকত। বিশ্বকবিকে নিয়ে বাঙালির যে আবেগ সেই আবেগকে সম্মান দিয়েই ওনার সর্ববৃহৎ ছবি আঁকার চেষ্টা করি, ছবিটি আঁকতে প্রায় ৫ থেকে ৬ লিটার রঙ খরচ হয়েছে। সব মিলিয়ে খরচও হয়েছে প্রায় ১০ হাজার টাকা৷ ছবি আঁকার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত ভিডিও ও স্টিল ‘ইণ্ডিয়া বুক’-এ পাঠিয়ে রেকর্ডসের জন্য আবেদন করি। ‘ইণ্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের তরফে আমার আঁকার স্বীকৃতি পাই’এই মর্মে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডের তরফে একটি সার্টিফিকেট, মেডেল, আমাকে দেওয়া হয়”।

ছেলের সাফল্যে বেজায় খুশি বাবা কাশীনাথ দে ও মা রিতা দে। তাঁরা জানিয়েছেন, ‘ছোট থেকেই কিছু করার খিদে ওর মধ্যে ছিল আঁকাকে ও ওর নিজের জীবনের সমান ভালবাসে। ছোট থেকেই বাঙালি রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে আবেগপ্রবণ। তাঁরই প্রতিকৃতি এঁকে সেরার সেরা সম্মান পাওয়া ওর কাছে গর্বের। আগামী দিনে চাই ও যাতে আরও বড় কিছু অর্জন করে রাজ্য তথা আমাদের গ্রামের নাম উজ্জ্বল করে’। কৌশিকের এই কৃতিত্বে খুশি বন্ধু বান্ধব থেকেই পাড়া প্রতিবেশী সকলেই।

india book of records
Advertisment