Advertisment

অভিনব-অনবদ্য-তাক লাগানো, গৃহ নির্মাণের সামগ্রী দিয়ে গড়া দুর্গা দেখলেই চমকাবেন

মেটা- পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাই শিল্পী তপন পালের নেশা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Tapan pal

সৃষ্টিতে ব্যস্ত শিল্পী তপন পাল।

২৩ বছর আগে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছিলেন। হাত পাকানো শুরু করেছিলেন স্টোভের সলতে দিয়ে। তারপর কাঁচা সবজি, তালগাছ ও খেজুর গাছ খোদাই করে শিল্পকর্ম, মোমবাতি, মিষ্টি, ছানা, ইলেকট্রিক তার ও টেপ, ফুচকা, ফল, মশলা, রান্নাঘর ও ঠাকুরঘরের বাসনপত্র, বিভিন্ন ধরনের ঘাস, নানা রংয়ের স্কচ বাইট ব্যবহার করে শিল্পকলার প্রকাশ ঘটিয়েছেন। এবার ভাস্কর্য শিল্পী তাপন পাল প্রাচীন ভারতীয় অর্থাৎ আদি রূপকল্পের সঙ্গে আধুনিক শৈল্পিক উপস্থাপনায় গড়ছেন মা দুর্গাপুর মূর্তি।

Advertisment

উত্তর ২৪ পরগনার গয়েশপুরের এই শিল্পী গত চার মাস ধরে তৈরি করছেন দুর্গাপ্রতিমা। তপন পাল বলেন, 'অন্য মাধ্যমের শিল্পকলার পরীক্ষা-নিরীক্ষা ২০০০ সাল থেকে শুরু করেছিলাম। যত দিন বাঁচবো ততদিন এমন কাজ করে যাব। কিছু কালীমূর্তি, সরস্বতী মূর্তি বানিয়েছি। তবে আমি মূলত দুর্গামূর্তি তৈরি করি।'

গয়েশপুরের মালঞ্চ সাংস্কৃতিক সংস্থার দুর্গাপ্রতিমা তৈরি করছেন তপন পাল। এবার গৃহ নির্মাণের সকল সামগ্রী দিয়ে তৈরি হচ্ছে প্রতিমা। হাওড়ার বেলুড় হাই স্কুলের শিল্পকলার শিক্ষক তপন পাল বলেন, 'এখানে ব্যবহৃত হয়েছে বালি, সিমেন্ট, স্টোন চিপস, মার্বেল স্টোন , রঙিন পাথর, সুড়কি, গ্রগস্, নানান রঙের-নানান ধরনের টাইলস, প্লাস্টার অফ প্যারিস, হোয়াইট সিমেন্টসহ আরও কিছু সামগ্রী। প্রতিমার উচ্চতা ১৩ ফুট উচ্চতা, ১৪ ফুট প্রস্ত, ৬ ফুট গভীরতার এই মূর্তি।'

দুর্গা প্রতিমার বিশেষত্ব বিশ্লেষণে শিল্পী জানিয়েছেন, এবারের মূর্তির বিশেষত্ব হল প্রাচীন ভারতীয় মূর্তি শিল্পের আদি রূপকল্প ও সমকালীন আধুনিক শৈল্পিক উপস্থাপনায় রূপায়িত। আদি কালের মহাশক্তি মা দুর্গা এখানে অসুর দলনে রুদ্র তেজ বিন্যাসে উদ্ভাসিত। প্রাচীন অথচ অভিনবত্বের ছোঁয়ায় চির শাশ্বত। অসুর এখানে একই মুখাবয়বে মহিষ এবং অসুর দুই রূপে প্রকাশিত।

আরও পড়ুন- শান্তি ফিরুক মণিপুরে, বিশেষ থিম ভাবনায় মাতৃবন্দনায় সল্টলেকের নজরকাড়া চমক

ইঁট খোদাই করে তপন পালের তৈরি শিল্পকলা ইন্ডিয়া বুক রেকর্ডস ও এশিয়া বুক অফ রেকর্ডসে স্থান পেয়েছে। বছর পঞ্চাশের এই শিল্পী বলেন, 'পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নিত্য নতুন অভিনব ভাস্কর্য তৈরি করার চেষ্টা করে চলেছি।' গভর্মেন্ট কলেজে পড়াশুনার সময় কলকতায় দুর্গাপ্রতিমার কাজ করেছেন। পরবর্তীতেও তাঁর গয়েশপুরের বাড়ি থেকে কাজ করে নিয়ে গিয়েছে দমদম এলাকার কয়েকটা পুজো কমিটি। একইসঙ্গে তপন পাল বলেন, 'এখনও কলকাতা থেকে কাজের সুযোগ পেলেও নানা সমস্যার জন্য করতে পারছি না।'

Durgapuja durga pujo
Advertisment