উপনির্বাচনেও অশান্তি এড়ানো গেল না। বনগাঁর একটি ওয়ার্ডে উপনির্বাচন ঘিরে তুলকামলাম পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিজেপি বিধায়ককে শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ বিজেপির দুই বিধায়ক-সহ দলের কর্মী-সমর্থকদের। একইভাবে আসানসোলের একটি ওয়ার্ডেও আজ উপনির্বাচন ঘিরে তুমুল অশান্তি ছড়ায়। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট লুঠের অভিযোগ এনেছে বিজেপি। তবে দুই ওয়ার্ডেই বিজেপির তোলা অভিযোগ উড়িয়েছে শাসকদল। পাল্টা গেরুয়া দলের বিরুদ্ধেই ভোটে গণ্ডগোল পাকানোর অভিযোগ জোড়াফুলের।
আজ একইসঙ্গে রাজ্যের দুই প্রান্তে উপনির্বাচন। আসানসোল পুরসভার ৬ নং ওয়ার্ড এবং বনগাঁ পুরসভার ১৪ নং ওয়ার্ডে উপনির্বাচন। এদিন উপনির্বাচন শুরুর কয়েক ঘণ্টা পর থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বনগাঁয়। বিজেপির অভিযোগ, বুথ থেকে তাঁদের এজেন্টকে মেরে বের করে দেয় তৃণমূল। বহিরাগতদের এনে ছাপ্পাভোটেরও অভিযোগ তুলেছে গেরুয়া দল। ভোট ঘিরে ব্যাপক অশান্তি শুরু হয়।
পুলিশের সামনেই বিজেপি ও তৃণমূলের কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি, মারামারি শুরু হয়ে যায়। এমনকী ঘটনাস্থলে গেলে বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদারকে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন- ‘আর ছাড় নয়, পঞ্চায়েতে অনিয়ম দেখলেই FIR’, জেলায়-জেলায় কড়া নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
বিজেপির মহিলা কর্মীদের উপরেও হামলার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ১৪ নং ওয়ার্ডে তৃণমূল ভোট লুঠ করেছে বলে অভিযোগ তুলে এরপর যশোর রোডে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে দেয় বিজেপি। অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে যশোর রোড। বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন বিজেপির দুই বিধায়ক স্বপন মজুমদার এবং অশোক কীর্তনিয়া। যদিও ভোট লুঠ বা হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। বুথ দখল করতে না পেরে বিজেপি নাটক করছে বলেও পাল্টা অভিযোগে সরব হয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
অন্যদিকে, আসানসোলের ৬ নং ওয়ার্ডেও উপনির্বাচন ঘিরে তুমুল অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে। জামুড়িয়ায় বিজেপির এক এজেন্টকে একটি বুথ থেকে মেরে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে স্থানীয় বিজেপি ও তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের মধ্যে বচসা, হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।