আসানসোলের কম্বল-বিলি কাণ্ডের জল গড়াল হাইকোর্টে। পুলিশের ভূমিকাকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন আসানসোলের বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারি। আগামিকাল উচ্চ আদালতে এই মামলার শুনানি হবে।
আসানসোল পুরনিগমের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর চৈতালি তিওয়ারি। তাঁর ওয়ার্ডেই কম্বল বিলি কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। কম্বল বিলির সেই অনুষ্ঠানেই ঘটে পদপিষ্ট হয়ে মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই বিজেপি নেত্রী চৈতালি তিওয়ারিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে সোমবার তাঁদের বাড়িতে নোটিশ দিতে গিয়েছিল পুলিশ। যদিও জিতেন্দ্র তিওয়ারি বা তাঁর স্ত্রী বাড়িতে না থাকায় সেই নোটিশ বাড়ির বাইরে লাগিয়ে গিয়েছিল পুলিশ।
মঙ্গলবার সকালে জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তাঁদের আসানসোলের বাড়িতে গিয়েছিল পুলিশ। যদিও আজও জিতেন্দ্র বা তাঁর স্ত্রী বাড়িতে ছিলেন না। বাধ্য হয়েই ফিরে যান পুলিশ আধিকারিকেরা। এদিকে বেলা গড়াতেই জানা গেল, আসানসোল উত্তর থানার পুলিশের ভূমিকাকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন চৈতালি তিওয়ারি। আইনি রক্ষাকবচ চেয়েই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বিজেপি নেত্রী। আগামিকাল উচ্চ আদালতে চৈতালি তিওয়ারির মামলার শুনানি হবে।
আরও পড়ুন- তিওয়ারি দম্পতির ফ্ল্যাটে তালা, অপেক্ষা করেই ফিরতে হল পুলিশকে
উল্লেখ্য, আসানসোলের ২৭ নং ওয়ার্ডে গত সপ্তাহের বুধবার বিজেপির একটি সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে হাজির ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই সভারই মূল উদ্যেক্তা ছিলেন স্থানীয় বিজেপি কাউন্সিলর তথা জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারি। শুভেন্দু সভা ছেড়ে বেরোতেই কম্বল বিলি কর্মসূচি শুরু হয়। এক সঙ্গে বহু মানুষ জড়ো হওয়ায় হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। পদপিষ্ট হয়ে ৩ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
সেই ঘটনার জেরেই আসানসোলের বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি ও তাঁর স্ত্রীর নামে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। ওই অনুষ্ঠানের আরও ৬ উদ্যোক্তাকে পুলিশ গ্রেফতারও করেছে। যদিও মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমে ফোনে জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, ''কিছু তৃণমূল নেতা আমার সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে পেরে না উঠে এভাবেই পুলিশকে দিয়ে বদলা নিতে চাইছেন।''