আগামী ১২ এপ্রিল আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে তৎপর কমিশন। ইতিমধ্যে এই লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছোতে শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ। শাসক এবং বিরোধী-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তৎপরতা উঠেছে তুঙ্গে। জোরকদমে চলছে প্রচার। প্রচারের কাজে এলাকায় আনাগোনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের হেভিওয়েট নেতা-নেত্রীদের।
এদিকে বৃহস্পতিবার শুরু হয়ে গেল ৮০ ঊর্ধ্ব ও শারীরিকভাবে অক্ষম ভোটারদের ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া। বাড়িতে বসেই তাঁরা ভোট দিলেন। আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত এইরকম অতি প্রবীণ এবং শারীরিকভাবে অক্ষম ভোটারদের ভোটদান প্রক্রিয়া চলবে। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, রানিগঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে ৮০ বছরের ঊর্ধ্ব ও শারীরিকভাবে অক্ষম ভোটারের সংখ্যা ৯০৮। এরমধ্যে ২৫৯ জন রানিগঞ্জ ব্লকের ও ৬৪৯ জন রয়েছে অন্ডাল ব্লকে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। এই প্রক্রিয়ায় ভোটকর্মীদের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পোলিং এজেন্ট ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও উপস্থিত ছিলেন। ভোটারদের ঘরের মধ্যেই প্লাইউড দিয়ে অস্থায়ী বুথ তৈরি করা হয়। গোপনীয়তা রক্ষার জন্য টাঙানো হয় চটের পর্দা। গৌড় চুনারি, গুরুপদ চুনারিরা জানান, বয়স হয়েছে। হাঁটাচলা করতে অসুবিধা হয়। তাই বুথে যেতে পারব না। বাড়ির লোকজন সেই জন্য বাড়িতেই অস্থায়ী বুথ তৈরির আবেদন কমিশনের কাছে করেছিল। কমিশন সুযোগ দিয়েছে। বাড়িতে বসেই ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়ে আমরা খুশি।
তবে এবারই প্রথম না। এর আগে গত বিধানসভা নির্বাচনেও কমিশন একইভাবে বাড়িতে ভোটদানের ব্যবস্থা করেছিল। সেবার রাজ্যজুড়ে নির্বাচন ছিল। সেই জন্য রাজ্যের প্রতিটি জেলাতেই এমন ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এবার উপনির্বাচন। তা-ও অসমর্থ ভোটারদের জন্য বাড়িতেই ভোটদানের ব্যবস্থা কমিশন প্রত্যাহার করেনি। ভোটদান বাড়িতে হলেও তার গোপনীয়তা বজায় রাখতে বৃহস্পতিবারও ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।