উচ্ছেদের নোটিস পাঠানো হয়েছিল অনেকদিন আগেই। কিন্তু তাতেও কাজ না হওয়ায় অগত্যা পুলিশের উপস্থিতিতেই উচ্ছেদ অভিযান চালালো ইস্টার্ন কোল্ডফিল্ড লিমিটেড (ইসিএল)। এমনকী এই ঘটনার সময় স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বাধা দিতে এলে পুলিশের তরফে তাঁদেরকেও গ্রেফতার করা হয় বলে খবর।
আরও পড়ুন- পায়ে পায়ে বিশ্বজয়ের লড়াইয়ে মগ্ন আসানসোলের অদ্রিজা
ঠিক কী হয়েছে?
ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোল সালানপুর থানার পাহাড়গোড়া গ্রামে। মোহনপুর কোলিয়ারি সম্প্রসারণের জন্য বেশ কিছু জমির প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল ইস্টার্ন কোল্ডফিল্ড লিমিটেড (ইসিএল)-এর। সেই প্রেক্ষিতে ওই এলাকায় ইসিএলের জমিতেই বসবাসকারী বেশ কিছু পরিবারকে অন্যত্র যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় কয়েক বছর আগে থেকেই। কিন্তু ইসিএল কর্তাদের অভিযোগ, সংস্থার নোটিসেও কর্ণপাত করেন ইসিএলের জমিতে বসবাসকারী পরিবারগুলি।
আরও পড়ুন- বিদ্যুৎহীন স্কুল, আসানসোলে মাঠে বসেই চলছে পঠন পাঠন
অগত্যা তাই আইনি পথেই পা বাড়াতে বাধ্য হয় ইস্টার্ন কোল্ডফিল্ড লিমিটেড। জমি হারানোর ফলে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের আশ্বাস বাক্যেও কাজ না হওয়ায় উচ্চ আদালতে যান তাঁরা। আদালতের রায় ইসিএলের পক্ষে যাওয়ার পর আজই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। সংস্থাটির এই উচ্ছেদ অভিযান ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় গোটা এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মৃদু লাঠিচার্যও করে পুলিশ, এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের।
এদিন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের বিশাল পুলিশ বাহিনী, ইসিএলের নিরাপত্তা রক্ষী, ইসিএলের আধিকারিক এবং সালানপুর ব্লক প্রশাসনের উপস্থিতিতেই এই জমি দখলকারীদের উচ্ছেদ করা হয়। এই অভিযানের সময় বেশ কিছু স্থানীয় বাসিন্দা বাধা দিতে এলে পুলিশ শেষ পর্যন্ত তাঁদের আটক করে এবং বাড়িগুলিকে খালি করে ভেঙে ফেলা হয়। ইসিএলের এক আধিকারিক বলেন, "হাইকোর্টের নির্দেশ মতোই উচ্ছেদ করা হয়েছে। ১২টি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের ক্ষতিপূরণের টাকাও আদালতে জমাও দেওয়া হয়েছে সংস্থার পক্ষ থেকে।"
আসানসোলের সব খবর পড়ুন এখানে