এ যেন পুরো হিন্দি ছবির স্লট। দোকানে ঢুকে ব্যবসায়ীকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে পরপর গুলি। রক্তাক্ত অবস্থায় দোকানের ভিতরেই লুটিয়ে পড়েন ওই ব্যবসায়ী। মুহূর্তে এলাকা ছেড়ে চম্পট দুস্কৃতীদের। রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের বাড়ির কাছেই এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। খবর পেয়ে দ্রুত এলাকায় যায় পুলিশ। ততক্ষণে দুষ্কৃতীরা অবশ্য পগার পাড়। পরে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই গুলিবিদ্ধ ওই ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা পুলিশের। শুক্রবার ভর সন্ধেয় ঘটনাটি ঘটে আসানসোল দক্ষিণ থানার সেনরাল রোডের একটি হোটেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধেয় নিজের হোটেলের রিসেপশনেই বসেছিলেন ব্যবসায়ী অরবিন্দ ভগৎ নামে ওই ব্যক্তি। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে সোফায় বসে আরও দুই ব্যক্তির সঙ্গে তখন কথা বলছিলেন হোটেলমালিক অরবিন্দ ভগৎ। ঠিক সেই সময়ে হোটেলের বাইরে থেকে এক ব্যক্তি হেলমেট পরা অবস্থায় ঢুকে ফিল্টার থেকে জল ভরতে শুরু করে। মুহূর্তের মধ্যে অরবিন্দের সামনে এসে পরপর গুলি করতে শুরু করে হেলমেট পরিহিত ওই দুষ্কৃতী। ওই দুষ্কৃতীর পাশাপাশি আরও একজন হোটেল ঢুকে ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে পরপর গুলি চালায়। এরপরেই দু'জন সেখান থেকে চম্পট দেয়।
আরও পড়ুন- কাল-পরশু জেলায়-জেলায় বৃষ্টি, ফের একবার ঠান্ডার কামব্যাক? জানুন লেটেস্ট আপডেট
ততক্ষণে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েছেন হোটেলমালিক অরবিন্দ ভগৎ। এলাকাজুড়ে তীব্র আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে বাইকেই এলাকা ছেড়ে চম্পট দিয়েছে দুষ্কতীরা। এদিকে, যে জায়গায় ঘটনাটি ঘটেছে তার ঢিল ছোড়াঁ দূরত্বে রয়েছে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ ফাঁড়ি। এলাকার কাছেই রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের বাড়ি রয়েছে। এমনই একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ভর সন্ধেয় এমন দুঃসাহসিক কাণ্ডে পুলিশি নজরদারিই প্রশ্নের মুখে পড়েছে। গোটা এলাকায় তীব্র আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। শুক্রবার সন্ধেয় এমন ভয়াবহ ঘটনার পর শনিবার সকলেও এলাকায় থমথমে পরিবেশ।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরেই এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। তবে খুনের পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। হোটেল ব্যবসা ছাড়াও আরও একাধিক ব্যবসা ছিল নিহত অরবিন্দ ভগতের। তাকে খুনের পিছনে ব্যবসায়িক শত্রুতাই বড় কারণ হতে পারে বলে ধারণা পুলিশ আধিকারিকদের। তবে সবরকম সম্ভাবনা খতিয়ে দেখেই চলছে তদন্ত।