আসানসোল-কাণ্ডে পুলিশি তৎপরতা আরও তুঙ্গে। রামকৃষ্ণডাঙায় বিজেপির কম্বল বিলি কর্মসূচির ৬ উদ্যোক্তাকে গ্রেফতার করেছে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ। কম্বল বিলির অনুষ্ঠানে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়, আরও ৮ জন আহত হয়েছেন। সেই ঘটনার জেরে অনিচ্ছাকৃত খুন-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে আসানসোলের বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধেও এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ।
গত বুধবার আসানসোলে শুভেন্দু অধিকারীর সভায় চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। কম্বল নিতে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। পুলিশের দাবি, অনুমতি ছাড়াই ওই কর্মসূচির আয়োজন করেছিল বিজেপি।
আসানসোলের পুলিশ কমিশনারের অভিযোগ, বুধবার পশ্চিম আসানসোলের রামকৃষ্ণডাঙায় সভা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারীর সভায় কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠান করা হবে বলে জানানো হয়নি। ফলে ওই জমায়েতের কোনও অনুমতি ছিল না। যদিও গেরুয়া শিবিরের পাল্টা দাবি, তাঁদের ওই কর্মসূচির ব্যাপারে সপ্তাহ দু'য়েক আগেই পুলিশকে জানানো হয়েছিল। পুলিশই উপযুক্ত নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করতে পারেনি বলে অভিযোগ বিজেপির। অন্যদিকে, তৃণমূল আসানসোলের ঘটনায় সরাসরি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধেই তোপ দেগেছে।
আরও পড়ুন- দ্রুত নামল পারদ, মাঝ ডিসেম্বরে কাঁপুনি ধরাচ্ছে শীত, ঠান্ডার এই স্পেল কতদিন?
এদিকে, আসানসোলের এই মর্মান্তিক ঘটনা নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। রামকৃষ্ণডাঙায় বিজেপির ওই অনুষ্ঠান-স্থলের সব ফুটেজ সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা। যে মাঠটিতে কম্বল বিলির অনুষ্ঠান চলছিল তার আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজও সংগ্রহ করা হয়। একইসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় স্থানীয়দের কয়েকজনকেও। সেদিনের অনুষ্ঠানে কম্বল নিতে আসা মানুষজনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
এরপরেই বিজেপির ওই সভার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ৬ উদ্যোক্তাকে গ্রেফতার করেছে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ। অনিচ্ছাকৃত খুন-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। আসানসোলে সেদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন এলাকার বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি ও তাঁর স্ত্রীও। জিতেন্দ্র ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধেও এফআইআর দায়ের করেছে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ।