চাঞ্চল্যকর মোড় নিলো আসানসোলের কুলটি থানার চিনাকুড়িতে সঞ্জিত পাসোয়ান (৩৭) খুনের ঘটনা। সর্বশেষ আপডেট, স্বামীর খুনের বদলা নিতেই সঞ্জিতকে খুনের ছক করেন স্ত্রী। পুলিশ এই ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করে ২০১৭ সালে খুন হওয়া যুবক রাজ কাপুর সিং ওরফে গব্বরের স্ত্রী বাসন্তী দেবী ও এলাকার আরেক যুবক মুকেশ মন্ডলকে।
জেরায় পুলিশ জানতে পেরেছে, পুরোনো শত্রুতার জেরেই খুন হয়েছে সঞ্জিত। অন্যদিকে মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে ছ'জনের নামে নিয়ামতপুর ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করা হয়। আজ ধৃতদের আসানসোল আদালতে তোলা হয়। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: দার্জিলিঙে হিংসার ঘটনায় বিমল গুরুং-সহ ৭২ জনের নামে চার্জশিট
টাকাপয়সার বিবাদের জেরেই শত্রুতা হয় গব্বরের সঙ্গে সঞ্জিতের। প্রায় তিন বছর ধরে এই শত্রুতা পরিণত হয় মারাত্মক সংঘর্ষে। ২০১৬-তে চিনাকুড়িতে একটি বিয়েবাড়ির নাচের অনুষ্ঠানে গুলি চালনার ঘটনা ঘটে। জখম হন কয়েকজন। অবশেষে ২০১৭ সালে খুন হয় গব্বর। এই ঘটনায় গ্রেপ্তারও হয় সঞ্জিত পাসোয়ান। সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পায় সে।
এই সময়কালের মধ্যে প্রতিশোধ নেওয়ার প্রস্তুতি নেয় গব্বরের স্ত্রী বাসন্তী দেবী। দেওর মিথিলেশকে সঙ্গে নিয়ে পরিকল্পনা করে সঞ্জিতকে খুনের। এলাকার কয়েকজন যুবককে সুপারি কিলার বা ভাড়াটে খুনি হিসেবে ব্যবহার করে গোটা ঘটনা ঘটায় সে। মঙ্গলবার মাথায় গুলির চিহ্ন, এবং দেহে একাধিক ক্ষতচিহ্ন নিয়ে উদ্ধার হয় সঞ্জিতের লাশ। রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার কর্মী ছিল সে।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রের খবর, সোমবার রাত্রে তার মোটরবাইকে করে বাড়ি ফিরছিল সঞ্জিত। চিনাকুড়ি ২ নম্বর এলাকায় তার ওপর গুলি চালায় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। মোটরবাইক থেকে ছিটকে পড়ার পর তাকে স্থানান্তরিত করে দুষ্কৃতীরা, যার ফলে ঘটনাস্থল থেকে মোটরবাইক পাওয়া গেলেও মেলেনি সঞ্জিতের দেহ। অবশেষে মঙ্গলবার ভরদুপুরে যেখানে বাইক পড়েছিল সেখান থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে পাওয়া যায় দেহ।