'উনি তো ধুমকেতু, এলাকায় দেখাই যায় না', এবার 'দিদির দূত' আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখেই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন গ্রামবাসীদের একাংশ।
রামপুরহাটের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্য বিধানসভার ডেপুটি স্পিকারকে ঘিরে চলল বেনজির বিক্ষোভ। যদিও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে বলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টায় জোড়াফুলের বিধায়ক।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে রাজ্যের গ্রামে গ্রামে ঘুরছেন দিদির দূতেরা। 'দিদির সুরক্ষাকবচ' কর্মসূচি নিয়ে মানুষের দুয়ারে-দুয়ারে পৌঁছে যাচ্ছেন তৃণমূলের টিকিটে জেতা জনপ্রতিনিধিরা। তবে জোড়াফুলের তাবড় নেতা-মন্ত্রীকে গ্রামে দেখেই অনুন্নয়নের অভিযোগ তুলে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন বাসিন্দারা। কোথাও পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে ঘেরাও হচ্ছেন জনপ্রতিনিধিরা। কোথাও আবার রাস্তা সংস্কারের দাবিতে দিদির দূতেদের ঘিরে চলছে বিক্ষোভ। গত কয়েক সপ্তাহে দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচি সারতে গিয়ে দিকে-দিকে নজরিবিহীন বিক্ষোভের মুখে পড়তে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের একাধিক নেতা-মন্ত্রীকে।
এবার ফের একবার বিক্ষোভের মুখে রামপুরহাটের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচি নিয়ে বীরভূমের মহম্মদবাজারের ভাঁড়কাটা পঞ্চায়েতের কাপাসডাঙ্গা গ্রামে গিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক তথা বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- মেয়ের হাত ধরে টানছিল মদ্যপরা, বাঁচাতে যেতেই দুষ্কৃতীরা পিটিয়ে মারল বাবাকে
হাতের কাছে বিধায়ককে পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামের বাসিন্দাদের একটি বড় অংশ। তাঁদের অভিযোগ, এলাকার দুর্গা মন্দির, মনসা মন্দির-সহ বিভিন্ন মন্দিরের পাশ দিয়ে গিয়েছে রাস্তা। রাস্তার ধারে নিকাশিনালা না থাকার জন্য বাড়ির নোংরা জল রাস্তার উপর দিয়েই বয়ে যাচ্ছে। সারা বছর ওই রাস্তায় জল জমে থাকে। বর্ষায় আরও দুর্বিষহ পরিস্থিতি তৈরি হয়। ওই রাস্তা চলাচলের পক্ষে অনুপযুক্ত বলে দাবি বাসিন্দাদের। রাস্তার বেহাল পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যদের জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
এদিন দিদির দূত বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে পেয়ে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। বিক্ষোভকারী সুশীল মুর্মু নামে এক যুবক বলেন, "ওঁকে আমরা দেখতেই পাই না। এখন দিদির দূত হিসেবে এসেছেন। তাই আমরা সমস্যার কথা জানালাম। উনি আবার আমাদের হুমকি দিলেন। উনি হুমকি দিয়ে মানুষের আন্দোলনকে থামাতে চাইছেন।" তবে এলাকায় নিকাশিনালা না থাকার কথা এদিন মেনে নিয়েছেন বিধায়ক।
আরও পড়ুন- ‘দিদির দূত গ্রামে ঢুকবেন না’, রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে কড়া নজরদারি বাসিন্দাদের
বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমি পঞ্চায়েতকে নিকাশিনালা সংস্কারের কথা বলেছি। নিকাশিনালার উপর ঢাকনা দেওয়া যায় কিনা সেটাও দেখতে বলে হয়েছে"। তবে এদিনের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে আশিসবাবু বলেন, "একজন মাত্র বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। তিনি এখানকার বাসিন্দাও নন। এখানকার জামাই। উনি আবার কয়লা শিল্প বিরোধী আন্দোলনের নেতা। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ওই ব্যক্তি বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। আমি এই এলাকায় নিয়মিত আসি।"
আরও পড়ুন- অসাধারণ এই সাগরতটে অনাবিল আনন্দ, কলকাতার কাছেই এজায়গার জুড়ি মেলা ভার!