হাতের কাছে বিধায়ককে পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামের বাসিন্দাদের একটি বড় অংশ। তাঁদের অভিযোগ, এলাকার দুর্গা মন্দির, মনসা মন্দির-সহ বিভিন্ন মন্দিরের পাশ দিয়ে গিয়েছে রাস্তা। রাস্তার ধারে নিকাশিনালা না থাকার জন্য বাড়ির নোংরা জল রাস্তার উপর দিয়েই বয়ে যাচ্ছে। সারা বছর ওই রাস্তায় জল জমে থাকে। বর্ষায় আরও দুর্বিষহ পরিস্থিতি তৈরি হয়। ওই রাস্তা চলাচলের পক্ষে অনুপযুক্ত বলে দাবি বাসিন্দাদের। রাস্তার বেহাল পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যদের জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে বিধায়কের 'সাফাই'।
এদিন দিদির দূত বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে পেয়ে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। বিক্ষোভকারী সুশীল মুর্মু নামে এক যুবক বলেন, "ওঁকে আমরা দেখতেই পাই না। এখন দিদির দূত হিসেবে এসেছেন। তাই আমরা সমস্যার কথা জানালাম। উনি আবার আমাদের হুমকি দিলেন। উনি হুমকি দিয়ে মানুষের আন্দোলনকে থামাতে চাইছেন।" তবে এলাকায় নিকাশিনালা না থাকার কথা এদিন মেনে নিয়েছেন বিধায়ক।
বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমি পঞ্চায়েতকে নিকাশিনালা সংস্কারের কথা বলেছি। নিকাশিনালার উপর ঢাকনা দেওয়া যায় কিনা সেটাও দেখতে বলে হয়েছে"। তবে এদিনের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে আশিসবাবু বলেন, "একজন মাত্র বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। তিনি এখানকার বাসিন্দাও নন। এখানকার জামাই। উনি আবার কয়লা শিল্প বিরোধী আন্দোলনের নেতা। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ওই ব্যক্তি বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। আমি এই এলাকায় নিয়মিত আসি।"