/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2024/04/ac-coches-indian-raiil.jpg)
Rail: আরামে সফর মানেই ভারতীয় রেলের এসি কোচে উছে পড়া।
AC Temperatures In Indian Trains: আরাম এবং নিরাপদে ভ্রমণের জন্য রেলযাত্রীরা ট্রেনের এসি কামরা বুক করেন। কামরায় শীতাতপ যন্ত্র বা এসি থাকায় দীর্ঘ যাত্রাতেও তেমন ক্লান্তি আসে না। ট্রেনের এসি কামরায় অনেক নিয়ম থাকে। তবে নিয়মিত ভ্রমণ করলেও বহু যাত্রীই জানেন না বিষয়টা। এই নিয়মের আওতায় পড়ে এসি কোচের তাপমাত্রা।
ট্রেনে চলমান এসি-র তাপমাত্রা নির্দিষ্ট করে রাখা হয়ে থাকে। অর্থাৎ ঘরে লাগানো এসি-র মতো ট্রেনের কামরার তাপমাত্রা ঘন ঘন পরিবর্তন করা হয় না। তাহলে কত তাপমাত্রায় চালানো থাকে ট্রেনের এসি?
ট্রেনের এসি কোচে ওঠার পর বহু যাত্রী প্রায়শই অভিযোগ করেন যে, এসি কমানো রয়েছে বা প্রচণ্ড ঠান্ডা লাগছে। কখনও বা গরম লাগলে অনেকেই বলেন, এসি বাড়ানো রয়েছে। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না যে, রেলওয়ের তরফ থেকে এসি-র একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা যাত্রীদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই নির্ধারিত।
আরও পড়ুন-Indian Railways: এক বছর বয়সেই আজীবন পাকা চাকরি শুরু, চেনেন ভারতীয় রেলের এই ‘বড়কর্তা’কে?
এছাড়া ট্রেনের এসি কামরায় চলমান এসি-র তাপমাত্রা কোচের উপরেও নির্ভর করে। আসলে সাধারণত এলএইচবি এসি কোচ এবং নন-এলএইচবি এসি কোচের ভিত্তিতে এর তাপমাত্রা নির্ধারিত হয়।
ট্রেনের এসি কত তাপমাত্রায় চলে? এলএইচবি এসি কোচগুলিতে এসি-র তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখা হয়। যাতে যাত্রীদের খুব বেশি সমস্যায় পড়তে না হয়।
আরও পড়ুন-Indian Railway’s AC Coachs: রেলে ভ্রমণ করেন? জানেন দূরপাল্লার ট্রেনে কেন মাঝখানে থাকে এসি কোচ?
নন-এলএইচবি এসি কোচে এই তাপমাত্রা ২৪ থেকে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখা হয়। এমন পরিস্থিতিতে বলা যেতে পারে যে, ট্রেনের এসি কামরায় তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে রাখা হয়।
রি-সার্কুলেশন মোড ব্যবহৃত হয় বলে, এসি-র রি-সার্কুলেশন মোড ব্যবহার করে ট্রেনের কামরাটিকে দ্রুত ঠান্ডা করা হয়। আসলে এই মোডে এসি কোচের ভিতরের ঠান্ডা বাতাসকে বারবার ঠান্ডা করে। সেই কারণে কামরা ঠান্ডা হতে বেশি সময় লাগে না।
তবে কোচের ভিতরে অক্সিজেনের মাত্রা ঠিকঠাক রাখতে ঘণ্টায় ১২ বার বাতাস বদলানো হয়। রাজধানী এবং দুরন্তর মতো এসি ট্রেনগুলিতে থাকা ঠান্ডা হাওয়ার ৮০ শতাংশ রি-সার্কুলেশন করা হয় এবং বাকি ২০ শতাংশ বাতাস বাইরে থেকে নেওয়া হয়।