Advertisment

বি কে পাল অ্যাভিনিউতে এটিএম ভাঙচুর করে টাকা লোপাটের চেষ্টা

প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, এটিএমের বাইরে এবং ভেতরের সমস্ত সিসিটিভি ক্যামেরা, অ্যালার্ম ভেঙে দেওয়া হয়, পাশাপাশি ভেঙে দেওয়া হয় এটিএম মেশিন সহ এটিএমের দরজাও।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

এটিএম ভাঙচুরের তদন্তে পুলিশ

শহরে ফের এটিএম-এর ওপর দুষ্কৃতীদের নজর। এবার অবশ্য সরাসরি ভাঙচুর করে চুরির চেষ্টা। ঘটনাটি ঘটেছে শোভাবাজারের বি কে পাল অ্যাভিনিউ-এর একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএমে। জানা গিয়েছে, বুধবার গভীর রাতে ওই এটিএম ভাঙচুর করে দুষ্কৃতিরা। সকালে এটিএমের এই অবস্থা দেখেন স্থানীয় মানুষজন। প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, এটিএমের বাইরে এবং ভেতরের সমস্ত সিসিটিভি ক্যামেরা, অ্যালার্ম ভেঙে দেওয়া হয়, পাশাপাশি ভেঙে দেওয়া হয় এটিএম মেশিন সহ এটিএমের দরজাও।

Advertisment

তবে চোরেরা ব্যর্থ হয়েছে বলেই প্রাথমিক তদন্তে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে আরও খবর, দুষ্কৃতিরা এটিএম ভাঙার চেষ্টা করলেও টাকার কোনও ক্ষতি হয়নি। অনুমান করা হচ্ছে, অনেক দুহাজার টাকার নোট সহ বেশ কিছু পাঁচশ টাকার নোট রয়েছে এটিএমের ভেতরে। তবে মেশিনের ভেতর সেই টাকার অঙ্কটা ঠিক কত, সে বিষয়ে এখনও সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন: অমৃতসরের ঘটনার পরও শিক্ষা নেই! অবাধে চলছে পারাপার

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই ব্যাঙ্কের এটিএমে কোনওদিনই কোনও নিরাপত্তারক্ষী থাকেন না। প্রায়ই বিকল অবস্থায় পড়ে থাকে ওই এটিএম। তা সত্ত্বেও এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। এমন জনবহুল স্থানে কীভাবে এমন ঘটনা ঘটে তা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। এ বিষয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। পুলিশের পাল্টা দাবি, এর আগে এই এটিএমের বেহাল দশা সংক্রান্ত কোনও অভিযোগই দায়ের হয়নি থানায়, এমনকি এটিএমের সামনে কিছু ব্যক্তি বসে বিভিন্ন ধরনের নেশা করেন, এ বিষয়টিও জানতেন না তাঁরা।

এটিএমের পাশের বাড়ির এক বাসিন্দা প্রতিমা দাসের কথায়, "রাত বাড়লেই এটিএমের সামনে বসে মদ-জুয়ার আড্ডা, এইসময় এ ফুটপাথ দিয়ে যাওয়াই দায় হয়ে ওঠে। এমনকি বেশ কিছু সময় এটিএমের ভিতরটাও নোংরা করে রাখে ওরা।" পুলিশের এক আধিকারিকের কথায়, "এখানে বসে যারা নেশা করে তাদের পক্ষে এমন কাজ করা সম্ভব নয়, কারণ যে সমস্ত জিনিস দিয়ে এটিএম ভাঙা হয়েছে তার জন্য যথেষ্ট পরিকল্পনার দরকার।" প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যে সিল করে দেওয়া হয়েছে ওই এটিএম, তবে এই ঘটনার নেপথ্যে কে বা কারা রয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

ATM
Advertisment