Attacks on NIA: লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) মুখে আবারও রাজ্যে হামলার শিকার কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এবার বিস্ফোরণ মামলার তদন্তে গিয়ে হামলার মুখে NIA। পাথর ছুঁড়ে ভাঙা হল গাড়ির কাচ। কাঁথির (Contai) ভূপতিনগরে বোমা বিস্ফোরণের (Bhupatinagar Bomb Blast) তদন্তে গিয়ে রোমহর্ষক আক্রমণের মুখে কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকরা। থানায় অভিযোগ দায়ের, শুরু তদন্ত।
ঘটনার সূত্রপাত কীভাবে?
২০২২ সালের ২ ডিসেম্বর পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির ভূপতিনগরে ভয়াবহ বিস্ফোরণের জেরে উড়ে যায় তৃণমূল নেতার বাড়ি। সেই ঘটনায় তৃণমূল নেতা-সহ ৩ জনের মৃত্যু হয়। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে সেই ঘটনার তদন্তভার যায় NIA-এর হাতে। সেই মতো তদন্তে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। ভূপতিনগরে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর দুই ব্যক্তিকে আটক করে NIA। তাদের গাড়ি করে তুলে আনার সময়েই বিপত্তি। NIA-এর গাড়ি ঘিরে ধরে চলে হামলা। মুহুর্মুহু পাথর ছোঁড়া হয় গাড়ি লক্ষ্য করে। হামলার জেরে কেন্দ্রীয় এজেন্সির একাধিক গাড়ির কাচ ভেঙেছে। আটক ব্যক্তিদের ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়। বিস্ফোরণ কাণ্ডে আটক দু'জনেই স্থানীয় তৃণমূল নেতা। আটক বলাই মাইতি তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি। অন্যজন মনোব্রত জানাও শাসকদলেরই স্থানীয় নেতা।
শনিবার ভোররাতে এই হামলার পরেই ভূপতিনগর থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। তারই ভিত্তিতে তদন্তও শুরু হয়ে গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। CRPF-এর জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে চলে ওই অভিযান। তবুও হামলা এড়ানো যায়নি। ভাইরাল (Viral) হওয়া একটি ভিডিও-য় দেখা গিয়েছে, সামনের সারিতে বেশ কিছু মহিলা বাঁশ, লাঠি নিয়ে হামলা চালাচ্ছেন। তাঁদের পিছনে রয়েছেন পুরুষরা।
যদিও সেই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা। এদিকে, NIA সূত্রে জানা গিয়েছে, ভূপতিনগর বোমা বিস্ফোরণের তদন্তে ওই এলাকার তৃণমূল নেতা সহ ৮ জনকে দু'বার তলব করা হয়েছিল। দু'বারই তলব এড়িয়েছেন তাঁরা। এরপরেই সেখানে গিয়ে অভিযানের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
আরও পড়ুন- Dilip Ghosh on Rachana Banerjee: ‘দিদি নং ১ খ্যাত’ রচনাকে নিয়ে এটা কী বললেন দিলীপ! তুঙ্গে চর্চা!
এদিকে, সন্দেশখালির (Sandeshkhali) পর আবারও কেন্দ্রীয় এজেন্সি আক্রমণের মুখে পড়ায় শোরগোল পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন বিরোধীরা। এদিনের হামলা প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে বাম নেতা তথা দমদম কেন্দ্রের CPM প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী বলেন, "সন্দেশখালির মতো একই জিনিস। শাহজাহানদের ধরতে গিয়ে আক্রান্ত হয় ED। প্রশাসন অপরাধীদের পাশে দাঁড়িয়েছে। ভূপতিনগরে ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণ হয়েছিল। তদন্ত হবে না! তদন্ত করা যাবে না! এই অসভ্যতা চলতে পারে না। এর বিহিত করতেই হবে।"
আরও পড়ুন- Premium: রবিশঙ্কর থেকে বিটলস, বিশ্বের তাবড় তাবড় শিল্পীদের বাদ্যযন্ত্র তৈরি করে কলকাতার এই জীর্ণ দোকান
অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতা সৌম্য আইচ সংবাদমাধ্যমে বলেন, "যারা এই কাজে যুক্ত তাদের খোলা ছুট দেওয়া হয়। তাদের প্রশ্রয়-মদত দেয়। তৃণমূলের সরকার তাদের মাথায় চড়িয়েছে। তারা কেন্দ্রীয় এজেন্সির উপর হামলা করছে। দুষ্কৃতীরা ধরা পড়ুক, বাংলার মানুষ চায়। কিন্তু তৃণমূল চায় না। মাথারা এদের প্রশ্রয় দিচ্ছে। গত ১২ বছরে এদের বুকের ছাতি চওড়া হয়েছে।"