গরু, কয়লা, রেশন সামগ্রী পাচার… এসব নিয়েই রাজ্যের শাসকদলকে ফি দিন তুলোধনা করতে দেখা যাচ্ছে বিরোধীদের। ঠিক এই আবহেই এবার মৃতদেহ পাচারের ঘটনা শিরোনামে। রাজ্যেরই একটি সরকারি হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ পাচারের চেষ্টার ঘটনা সামনে আসতেই তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। যা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছিল রাজ্যেরই এক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় মৃতদেহ বহনকারী গাড়ির চালক সহ ৭ জনকে হাতেনাতে ধরে ফলেছেন হাসপাতালের নিরাপত্তা কর্মীরা। পাকড়াওয়ের তালিকায় মেডিক্যাল কলেজের চার কর্মীও রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এই ঘটনা এখন জোর চর্চায়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে মেডিক্যাল কলেজের অ্যানাটমি বিভাগের মৃতদেহ রাখার ঘর থেকে তিনটি দেহ লোপাট করা হচ্ছিল। মৃতদেহ বহনকারী গাড়িতে করে ওই দেহগুলি পাচারের চেষ্টা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। দেহ পাচারের আগেই গোটা বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায়। হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মীরা তিনটি মৃতদেহ-সহ গাড়িটি হাতেনাতে ধরে ফেলেন। ধরা পড়ে যায় মৃতদেহ পাচারের চেষ্টায় থাকা ৭ জনই।
আরও পড়ুন- দাপট বাড়াবে হিমেল হাওয়া! ভাইফোঁটা মিটলেই বঙ্গে কনকনে ঠান্ডা?
খবর পেয়ে বর্ধমান থানার পুলিশ যায় মেডিক্যাল কলেজে। পুলিশ মৃতদেহ পাচারের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মেডিক্যাল কলেজের চার কর্মী-সহ মৃতদেহ বহনকারী ৩ জনকে আটক করে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, মৃতদেহ পাচারের চেষ্টার কথা জানতে পেরেই তৎপর হন হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীরা। তাঁরা তৎপর হওয়াতেই এই ঘটনা প্রকাশ্যে এসে যায়।
আরও পড়ুন- পার্থ ইতিহাস! অনুব্রতর মতোই জ্যোতিপ্রিয় নিয়ে অবস্থান মুখ্যমন্ত্রীর, নীরব ‘যুবরাজ’
এ বিষয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ কৌস্তুভ নায়েকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “মৃতদেহ চুরি হচ্ছিল। আমরা পুলিশকে জানিয়েছি।" ডিএসপি ট্রাফিক (২) রাকেশ চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "এখনই সবটা বলা সম্ভব নয়। আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।"