বছর দু'য়েক ধরে চলা রুটের হঠাৎই বদল। মেইন রোড থেকে অটোর রুট সরে যায় বাইপাসে। প্রশাসনের এই পদক্ষেপে ঘোর সমস্যায় নরেন্দ্রপুর থানা-বারুইপুর জেল রুটের অটোমালিকরা। সমস্যায় একাংশের যাত্রীরাও। পুরনো রুটেই অটো ফেরাতে রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার দ্বারস্থ হয়েছিলেন অটোমালিকরা। যদিও সমস্যা মেটেনি। পুরসভার তরফে অটোমালিকদের দেওয়া আবেদনপত্র বারুইপুর আরটিও-কে ফরোওয়ার্ড করে দেওয়া হয়েছে। অটোর এই রুট বদলে তাঁদের কোনও ভূমিকা নেই বলেই জানিয়েছেন রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার চেয়ারম্যান তথা পেশায় চিকিৎসক পল্লবকান্তি দাস।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর থানা চত্বর থেকে ছেড়ে মেইন রাস্তা দিয়ে গোবিন্দপুর, পদ্মপুকুর, ধোপাগাছি হয়ে টংতলার কাছে বারুইপুর জেল, এটাই ছিল ২৭৯ নং অটোর রুট। বছর দু'য়েক ধরে অবশ্য কামালগাজি থেকেই এই রুটে অটো চলত। কামালগাজি থেকে মেইন রাস্তা ধরেই রাজপুর, চৌহাটি, গোবিন্দপুর, পদ্মপুকুর হয়ে অটো যেতে বারুইপুর জেল পর্যন্ত।
তবে কয়েক মাস আগে হঠাৎই এই রুট ঘুরিয়ে দেওয়া হয় কামালগাজি-বারুইপুর বাইপাসে। এতেই ঘোর আপত্তি অটোমালিক-চালকদের। তাঁদের অভিযোগ, কামালগাজি বাইপাস ধরে বারুইপুরে যেতে বা ফেরার সময় যাত্রী তেমন মেলে না। সেই কারণেই আর্থিকভাবে তাঁদের ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। কখনও হাতেগোনা যাত্রী নিয়ে কখনও আবার ফাঁকা অটো নিয়েই ফিরতে হচ্ছে তাঁদের। কয়েক মাস ধরে টানা এ জিনিস চলতে থাকায় ঘোর বিপাকে পড়েছেন অটোচালকরা। সমস্যায় পড়েছেন একাংশের যাত্রীরাও।
আরও পড়ুন- বিষধর কেউটেই এতল্লাটের দেবী, ‘ঝাঁকলাই’-এর পুজো ঘিরে সরগরম বাংলার এই প্রান্ত
ইতিমধ্যেই ২৭৯ নং রুটের অটোমালিকরা রাজপুর-সোনারপুর পুরসভাকে পুরনো রুটেই অটো ফেরানোর দাবি জানিয়েছেন। পুর কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে আবেদনও করেছেন তাঁরা। এই রুটের এক অটোমালিক বলেন, ''বছর দু'য়েক ধরে কামালগাজি থেকেই নরেন্দ্রপুর থানা-বারুইপুর জেল রুটের অটো চলছিল। রাজপুর-সোনারপুর পুরসভায় হঠাৎ একটি বৈঠক হয়। তারপরেই আমাদের জানিয়ে দেওয়া হয়, মেইন রাস্তা দিয়ে নয়, বাইপাস দিয়েই অটো নিয়ে যেতে হবে। সেই থেকে বাইপাস ধরেই অটো যাচ্ছে।''
ওই ব্যক্তি আরও বলেন, ''বাইপাসের ধারে তেমন বসতি নেই। বাইপাসে আলোর ব্যবস্থাও পুরোপুরি করা যায়নি। সন্ধের দিকে সুরক্ষার কথা ভেবে অটোয় উঠতেও ভয় পাচ্ছেন মহিলারা। বারুইপুরের পদ্মপুকুরের কাছে প্রায়ই অটোচালকদের সঙ্গে আমাদের গন্ডগোল হচ্ছে। দিনের পর দিন এভাবে চলতে থাকায় আমাদের লোকসান বেড়েই চলেছে।'' হঠাৎ কেন এই রুট বদল? জানতে চেয়ে আরটিআই পর্যন্ত করেছেন এই অটোমালিক। কিন্তু তাঁকে কোনও জবাব দেওয়া হয়নি বলেই দাবি তাঁর।
আরও পড়ুন- মিড-ডে মিলে মুশকিল আসান! ছাদেই বাগান বানিয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছে এই স্কুল
ইতিমধ্যেই রাজপুর-সোনরপুর পুরসভার চেয়ারম্যান পল্লবকান্তি দাসকে চিঠি দিয়ে সমস্যার কথা জানিয়েছেন এই রুটের অটোমালিকরা। তবে এব্যাপারে পুরসভার কোনও ভূমিকা নেই বলে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান পল্লবকান্তি দাস। তিনি বলেন, ''এব্যাপারে আমাদের কোনও ভূমিকাই নেই। যা করার বারুইপুর আরটিও করেছে। রাস্তায় প্রায়ই গন্ডগোল হতো। এক অটো অন্য অটো থেকে প্যাসেঞ্জার পর্যন্ত নামিয়ে দিয়েছে। অটোমালিকরা যে চিঠি দিয়েছিলেন সেটা আমরা আরটিও-কে পাঠিয়ে দিয়েছি।''