ভয়াবহ তুষারধসে বিধ্বস্ত সিকিমের নাথুলা সীমান্ত এলাকা। মঙ্গলবারের ছাঙ্গু লেক যাওয়ার রাস্তায় ১৪ মাইল এলাকার তুষারধসে অন্তত ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম এক ডজনেরও বেশি।
Advertisment
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে চিন সীমান্তে অবস্থিত নাথুলা পাস সিকিমের প্রধান পর্যটন কেন্দ্র। ফলে নাথুলায় বছরের এই সময়ে পর্যটকের ভিড় থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এদজিনের তুষারধসের ফলে অনেক পর্যটকের বরফে আটকে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভারতীয় সেনা, বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন, সিকিমের পুলিশ, পর্যটন দফতর ও ট্র্যাভেল অ্যাসোসিয়েশন উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। আহতদের গ্যাংটকের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, নিহত ৬ জনকে উদ্ধার করে কাছেই সেনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। নিহতদের মধ্যে চারজন পুরুষ, একজন মহিলা এবং একজন শিশু বলে জানা গিয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সোমবার রাত থেকে দফায় দফায় নাথুলা, বাবা মন্দির, ছাঙ্গু এলাকায় তুষারপাত চলছে। ফলে ১৫ মাইলের পর পর্যটকদের যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। কিন্তু তুষারপাতের খবর পেয়ে এদিন সকালে বহু অতি-উৎসাহী পর্যটক ছাঙ্গুর উদ্দেশ্যে রওনা হয়। তাতেই বিপদ বাড়ে। কিছু অতি উৎসাহী পর্যটক ১৫ মাইলে গাড়ি রেখে পায়ে হেঁটে ১৪ মাইল পর্যন্ত পৌঁছে যান। ওই এলাকা বরফের পুরু আস্তরণে মোড়া ছিল। আর সেখানে পর্যটকদের পা পড়তেই ভয়ঙ্কর বিপদ ঘটে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তলিয়ে যান পর্যটকরা।