এসএসসি কেলেঙ্কারিতে আরও এক রহস্যময়ীর সন্ধান পেলেন ইডির গোয়েন্দারা। এই রহস্যময়ী ধৃত প্রমোটার অয়ন শীল ঘনিষ্ঠ এক অভিনেত্রী বলে জানতে পেরেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা আধিকারিকরা। সল্টলেকে অয়নের ভাড়া বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। সেখান থেকেই বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগের ওএমআর শিট, শিক্ষকের চাকরি প্রার্থীদের তালিকা সহ নানা নথি, ৩২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছিল। যা খতিয়ে দেখতেই রহস্যময়ীর নাম উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, অয়ন শীল ঘনিষ্ঠ এই রহস্যময়ী আসলে শ্বেতা চক্রবর্তী। গত শনিবার ইডি অয়নের বাড়িতে তল্লাশি করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে তাঁকে সতর্ক করেছিলেন শ্বেতা। এই মহিলার নামের অ্যাকাউন্টে অয়নের ব্যাঙ্ক থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা লেনদেন হয়েছে বলে ইডি সূত্রে দাবি।
তদন্ত এগোতেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন যে, অয়ন শীল শ্বেতা চক্রবর্তীকে একটি বহুমূল্যের গাড়ি উপহার দিয়েছিলেন। তল্লাশিতে উদ্ধার হয়েছে সম্পত্তি ক্রয়ের নথিও। অয়ন শীলের বাড়ি থেকে ইডি উদ্ধার করা ৩২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেয়ের মধ্যে একটি গ্রামীণ ব্যাঙ্ক, তিনটি সরকারি ব্যাঙ্ক ও বাকিগুলি ২টি বেসরকারি ব্যাঙ্কের। এর মধ্যে ২টি অ্যাকাউন্ট তাঁর স্ত্রী কাকলি ও ২টি অয়ন ও কাকলির যৌথ অ্যাকাউন্ট। বাকিগুলি তাঁর মা, বাবা, ছেলের নামে। কিন্তু একটি অ্যাকাউন্টে এসে ইডি আধিকারিকদের সন্দেহ দানা বাঁধে। সেটি শ্বেতা চক্রবর্তী নামে একটি অ্যাকাউন্ট। কে এই শ্বেতা? তাঁকে অয়ন বান্ধবী বলে জানিয়েছিল বলে ইডি গোয়েন্দা সূত্রে খবর।
গত শনিবার ইডির অভিযান চলে সল্টলেকের এফডি ব্লকে অয়ন শীলের ভাড়া বাড়িতে। ইডি সূত্রে খবর, ইডি ওই বাড়িতে পৌঁছনোর আগেই তাঁর ঘনিষ্ঠ শ্বেতার সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলেছিলেন অয়ন শীল। সেই কথপোকথনে ইডি তল্লাশি চালাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন শ্বেতা। সতর্ক করে দিয়েছিলেন অয়নকে। শুক্রবার রাতের চ্যাট হিস্ট্রিতে লেখা ছিল, 'ইডি রেইড করতে পারে। জিনিসপত্র সরিয়ে নাও।' তল্লাশির খবর শ্বেতা কীভাবে আগেই পেয়েছিলেন তা জানতে মরিয়া গোয়েন্দারা।
কে এই শ্বেতা চক্রবর্তী?
নৈহাটির জেলাপাড়ায় শ্বেতার বাড়ি। তাঁর বাবা ছিলেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্মী। শ্বেতা চক্রবর্তী মডেল হিসাবেও টলিপাড়ার পরিচিত মুখ। এছাড়া কামারহাটি পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারের সহকারি হিসাবে চাকরি করের তিনি। সামলাতেন অয়ন শীলের প্রমোটারি ব্যবসাও।