চলছে রামমন্দির উদ্বোধনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি। এর মাঝেই চূড়ান্ত জল্পনা বাংলায় আলোতেই কি সাজতে চলেছে অযোধ্যার রামমন্দির?
দুর্গাপুজো শেষে শুরু হয়েছে চন্দননগরের ঐতিহ্যবাহী জগদ্ধাত্রী পুজো। আর জগদ্ধাত্রী পুজোর আলোকসজ্জা দেখতে দূর দূরান্ত থেকে মানুষজন আলোর শহর চন্দননগরে ভিড় জমান।
চন্দননগরের আলোকসজ্জার জগৎজোড়া খ্যাতি। ইতিমধ্যেই দুর্গাপুজোয় প্রথম বারের জন্য লন্ডন শারদ উৎসব সেজে উঠেছিল চন্দননগরের আলোকসজ্জায়। এবার বহু প্রতীক্ষিত রামমন্দিরও সেজে উঠবে চন্দননগরের আলোকসজ্জায়? তেমন আশাতেই বুক বাঁধছে ফরাসডাঙ্গা।
জানুয়ারিতেই অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন। ২২ জানুয়ারি নিজের হাতেই রামলালাকে নতুন মন্দিরে প্রবেশ করাবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী! জমকালো আয়োজন চমকে দেবে। ট্রাস্ট-এর তরফে জ্জানানো হয়েছে, উদ্বোধনের দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যজমানের ভূমিকা পালন করবেন। অর্থাৎ পুজোর আয়োজনের অনেকটাই তিনি নিজে হাতে করবেন।
অস্থায়ী মন্দিরে থাকা রামলালার মূর্তি নিজের কোলে করে নিয়ে অযোধ্যায় নবনির্মিত রামমন্দিরে গর্ভগৃহে সেই মূর্তি প্রতিষ্ঠা করবেন খোদ প্রধানমন্ত্রী মোদী। রামমন্দির নির্মান কমিটির সূত্রে জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শ্রী রামের মহিমান্বিত পুজো উপলক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, রামলালার মূর্তি কোলে নিয়ে নিয়ে নতুন মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশ করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। গর্ভগৃহ মানে সেই অংশ যেখানে রামলালা তাঁর স্থায়ী আসনে বসবেন।
রামলালার ৫ ফুটের মূর্তিটি প্রায় ৫০০ মিটার কোলে নিয়ে মূল মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশ করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। দেশের প্রতিটি প্রান্ত থেকে ঋষি-সাধুরা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। প্রাণ প্রতিস্থার আগে শ্রী রামের কাছে একটি প্রার্থনা করা হবে, তারপরে তাকে তার স্থায়ী আসনে বসানো হবে।
দেশের একাধিক পবিত্র নদীর জল দিয়ে শ্রী রাম লালার মূর্তিকে স্নান করানো হবে। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন হাজার হাজার ঋষি-সাধু।তারা দেশের বিভিন্ন পবিত্র নদী থেকে জল নিয়ে আসবেন। সমস্ত জল মিশিয়ে স্নান করানো হবে রাম লালার মূর্তিটিকে।
এত আয়োজনের মাঝে অযোধ্যা সাজছে বাংলার আলোয়। প্রতিবারই নবরাত্রি আর দশেরা উপলক্ষে সেজে উঠেছে গোটা অযোধ্যা। গত আট বছর ধরেই সেই বরাত পেয়ে এসেছে ভাল চন্দননগরের সাহা ইলেকট্রিকস। দীপাবলীর আগেই অযোধ্যা সাজাতে ৬৫ জনের একটি দল সেখানে গিয়ে তাক লাগানো আলোকসজ্জায় সকলকে চমকে দিয়েছেন। এবার আশা রামমন্দিরের আলোসজ্জার বরাতও পাবে সাহা ইলেকট্রিকস।
সাহা ইলেকট্রিকের কর্ণধার মনোজ সাহা বলেন, ‘দীর্ঘ আট বছর ধরে দীপাবলী-ধনতেরাস ও নবরাত্রি উপলক্ষ্যে অযোধ্যা নগরীর ১০ কিলোমিটার রাস্তার আলোকসজ্জার দায় বর্তায় তার ওপরেই। বছরের পর বছর তাঁর আলোকসজ্জা চমকে দিয়েছে সেখানকার মানুষজনকে। রামমন্দিরের উদ্বোধন ২২ জানুয়ারি। ইতিমধ্যেই রামমন্দির বাংলার আলোয় সাজিয়ে তোলার বিষয়ে আশাবাদী তিনি। মনোজ বাবু বলেন, ‘ইতিমধ্যে প্রস্তুতি চূড়ান্ত। তবে এখনও টেন্ডার খোলা হয়নি। আমরা যেভাবে বছরের পর বছর ধরে অযোধ্যা নগরীকে আলোর ঝরনায় সাজিয়ে তুলেছি। আমরা আশাবাদী আমরাই রামমন্দিরের আলোকসজ্জার বরাত পাব’।