নিয়োগ পরীক্ষায় ববিতা সরকারের নম্বর নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যার জেরে আগেভাগেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন মেখলিগঞ্জ ইন্দিরা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের রাষ্ট্র বিজ্ঞানের শিক্ষিকা ববিতা। এবার তাঁর চারকির আসল দাবিদার দাবি করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন শিলিগুড়ির বাসিন্দা অনামিকা রায়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে মামলা দায়ের করেছেন অনামিকা। দাবি করেছেন ববিতার বেতনের ১৪ লাখ টাকাও।
এসএসসি কেলেঙ্কারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অন্যতম মুখ মেখলিগঞ্চের ববিতা সরকার। তাঁর আইনি লড়াইয়ের জেরেই প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা চাকরি খুইয়েছেন। অঙ্কিতার চাকরিটি পেয়েছেন ববিতা সরকার। চার বছর অঙ্কিতার বেতনের অর্থও কোরটের নির্দেশে গিয়েছে ববিতার অ্যাকাউন্টে।
সেই ববিতার চাকরির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ, ববিতা সরকার নিজের স্নাতোক পর্যায়ের নম্বরের শতকরা হার বাড়িয়ে এসএসসিকে দেখিয়েছে। এতেই বেড়েছে ববিতার ‘অ্যাকডেমিক স্কোর’। ফলে চাকরি মেলায় ব়্যাঙ্কিয়ে সুবিধা হয়েছে তাঁর।
ববিতা সরকারের একটি আবেদনপত্র ভাইরাল হয়েছে। সেখানেই দেখা যাচ্ছে, স্নাতক স্তরে ৮০০ নম্বরের মধ্যে ৪৪০ পেয়েছেন ববিতা। শতকরা হিসাবে যা ৫৫ শতাংশ। অভিযোগ এসএসসিতে ববিতার স্নাতকস্তরের প্রাপ্ত নম্বরের শতকরা হার ৬০ শতাংশ বা তার বেশি বলে উল্লেখ রয়েছে। অভিযোগ সত্যি হলে, শিক্ষক নিয়োগের চাকরি পরীক্ষায় ববিতার অ্যাকাডেমিক স্কোর ৩৩ এর বদলে হবে ৩১। ফলে র্যাঙ্কিংয়েও পিছিয়ে পড়বেন ববিতা সরকার।
অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই তালিকায় নাম থাকা চাকরিপ্রার্থী অনামিকা রায়ের দাবি ববিতা সরকারের চাকরি আসলে তাঁর প্রাপ্য। তালিকায় ববিতার ঠিক পরেই ছিলেন অনামিকা। অনামিকার দাবি, তাঁরও মোট প্রাপ্ত নম্বর ৭৭। কিন্তু উচ্চশিক্ষায় বেশি নম্বর থাকায় অনামিকা নিয়ম মেনে অগ্রাধিকার পেয়েছেন। ফলে চাকরির আসল দাবিদার তিনি। সেই চাকরির জন্য এবার আইনের দ্বারস্থ হলেন অনামিকা। বুধবারই ববিতা ও অনামিকার মামলার শুনানির সম্ভাবনা।