ববিতা সরকার, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অন্যতম চর্চিত নাম। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতাকে সরিয়ে ওই চাকরি পেয়েছিলেন তিনি। চলছিল স্কুল শিক্ষিকার চাকরিও। কিন্তু হটাৎ নিয়োগ দুর্নীতি মামলার অন্যতম মুখ ববিতার বিরুদ্ধেই উঠেছে নম্বর কেলেঙ্কারির অভিযোগ। যা নিয়ে শোরগোল পড়েছে। ফলে প্রশ্নের মুখে ববিবার চাকরির বৈধতা। এবার বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনলেন খোদ ববিতা সরকার। উচ্চ আদালত তাঁর মামলা গ্রহন করেছে ও বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই মামলায় এসএসসি-কে পক্ষ করার নির্দেশ দিয়েছে। আগামী বুধবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
অভিযোগ উঠেছে, ববিতা সরকার নিজের স্নাতোক পর্যায়ের নম্বরের শতকরা হার বাড়িয়ে এসএসসিকে দেখিয়েছে। এতেই বেড়েছে ববিতার 'অ্যাকডেমিক স্কোর'। ফলে চাকরি মেলায় ব়্যাঙ্কিয়ে সুবিধা হয়েছে তাঁর।
ববিতা সরকারের একটি আবেদনপত্র ভাইরাল হয়েছে। সেখানেই দেখা যাচ্ছে, স্নাতক স্তরে ৮০০ নম্বরের মধ্যে ৪৪০ পেয়েছেন ববিতা। শতকরা হিসাবে যা ৫৫ শতাংশ। অভিযোগ এসএসসিতে ববিতার স্নাতকস্তরের প্রাপ্ত নম্বরের শতকরা হার ৬০ শতাংশ বা তার বেশি বলে উল্লেখ রয়েছে। অভিযোগ সত্যি হলে, শিক্ষক নিয়োগের চাকরি পরীক্ষায় ববিতার অ্যাকাডেমিক স্কোর ৩৩ এর বদলে হবে ৩১। ফলে র্যাঙ্কিংয়েও পিছিয়ে পড়বেন ববিতা সরকার।
অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই তালিকায় নাম থাকা চাকরিপ্রার্থী অনামিকা রায়ের দাবি ববিতা সরকারের চাকরি আসলে তাঁর প্রাপ্য। তালিকায় বিবাতর ঠিক পরেই ছিলেন অনামিকা।
অভিযোগ প্রসঙ্গে ববিতা সরকারের দাবি, 'প্রথম দিকে আমরা আমাদের প্রাপ্ত নম্বরই জানতাম না। কমিশনের প্রকাশিত তালিকা নিয়েই আদালতের দ্বারস্থ হই। আমার মামলার উপর ভিত্তি করেই আদালত নম্বর বিভাজনের তালিকা প্রকাশ করতে নির্দেশ দেয় কমিশনকে। নবম-দশম এবং দ্বাদশ-একাদশ শ্রেণির জন্য আলাদা নম্বর বিভাজন থাকে। সে ক্ষেত্রে নবম ও দশম শ্রেণির জন্য আমার নম্বর এই মুহূর্তে ঠিকই আছে।' এরপরই পুরো বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়ার কথা জানিয়েছিলেন তিনি।