তৃণমূলকে আক্রমণ করে রিংটোন তৈরি করে আদৌ কোনও 'অন্যায়' করেননি বাবুল সুপ্রিয়। বাবুলের দাবি, বব ডিলানও প্রতিষ্ঠান বিরোধী গান লিখতেন ও গাইতেন। বাবুল সুপ্রিয়কে পাঠানো 'শো কজ' নোটিসের প্রেক্ষিতে বুধবার রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলকেই নিশানা করা হল। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়, জয়প্রকাশ মজুমদার এবং সায়ন্তন বসু। বাবুল বলেন, "আমি যখন গানটি তৈরি করছিলাম সে সময় বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম সেই ফুটেজ সংগ্রহ করে এবং তা সম্প্রচার করে।" এ ক্ষেত্রে তাঁর কী করার আছে, জানতে চান বাবুল সুপ্রিয়।
বাবুলের নামে এদিনের সাংবাদিক বৈঠক ডাকা হলেও, আসানসোলের বিদায়ী সাংসদের হয়ে মূলত ব্যাট ধরেন জয়প্রকাশ মজুমদার। তিনি বলেন, যে চিঠিটি পাঠানো হয়েছে তা নিয়েই বিজেপির তীব্র আপত্তি রয়েছে। তাঁর দাবি, তাঁরা নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্ন করেছেন, ওই চিঠিটি আদৌ সিইও-র অফিসে লেখা হয়েছে না কি তৃণমূলের কার্যালয়ে? কারণ, এই চিঠির ভাষা রীতিমতো 'পক্ষপাত দুষ্ট'। জয়প্রকাশবাবুর অভিযোগ, "তৃণমূলপন্থী" বেশ কয়েকজন সরকারি আধিকারিক এই মুহূর্তে রাজ্যের সিইও অফিসে বহাল রয়েছেন। বিজেপি চায়, নিরপেক্ষ সিইও অফিস।
আরও পড়ুন: মিমি-নুসরত, মমতার পুরনো চালের নতুন মুখ
বাবুল সুপ্রিয়র বিরুদ্ধে নোটিস প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি জানান, আগামিকাল বাবুল কমিশনে উত্তর দেবেন। তবে, বাবুলের গানের কথায় ধর্মীয় গোষ্ঠী বা ব্যক্তিকে আক্রমণ করা হয়নি। ফলে আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি (মডেল কোড অফ কনডাক্ট বা এমসিসি) লঙ্ঘিত হয়নি বলেও দাবি করেছেন জয়প্রকাশ। তিনি আরও বলেন, এই গান বিজ্ঞাপন হিসাবে কোনও বৈদ্যুতিন বা ডিজিটাল মাধ্যমে সম্প্রচার করা হয়নি, ফলে নির্বাচনী বিধি কোনওভাবেই ভঙ্গ করা হয়নি। তবু, বাবুল সুপ্রিয়র তরফে এই নোটিসের জবাব দেওয়া হবে।