মঙ্গলবার প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে আসেন এক যুবতী। তখন অন্য রোগী দেখতে ব্যস্ত ছিলেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, সে সময় বাথরুমে যান ওই যুবতী। মনে করা হচ্ছে, সেখানেই তিনি জন্ম দেন সন্তানের। তারপর তাকে বেসিনের নিচে রাখা নোংরা ডাস্টবিনে ঢুকিয়ে চাপা দিয়ে 'ভ্যানিশ' করে যান নতুন মা। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের দুবরাজপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।
হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, যুবতীর সঙ্গে পরিবারের কোনো লোক আছে কিনা, তা জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল তাঁকে। সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কোনো উত্তর দেন নি তিনি। তারপর তাঁকে বসতে বলা হয়। কিছুক্ষণ পর তিনি বাথরুমে চলে যান।
সন্ধের দিকে হাসপাতালের অন্যান্য রোগীদের পরিবারের সদস্যরা একটি শিশুর কান্নার শব্দ পান বাথরুম থেকে। সেখানে গিয়ে দেখেন, নোংরা রক্ত মাখা হাসপাতালের আবর্জনা দিয়ে ঢাকা দেওয়া রয়েছে একটি সদ্যোজাত শিশু। তড়িঘড়ি ডেকে নিয়ে আসা হয় হাসপাতালে কর্মরত এক আয়াকে। এবং দ্রুত উদ্ধার করা হয় শিশুটিকে।
আরও পড়ুন: জিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ড: পরিকল্পনার নেপথ্যে উৎপলের সঙ্গী কি সৌরভ? তদন্তে পুলিশ
আরও পড়ুন: জিয়াগঞ্জকাণ্ডে অভিযুক্তের পক্ষে দাঁড়ালেন না কোনও আইনজীবী
ফুটফুটে এক পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন ওই যুবতী। তবে হাসপাতাল চত্বরে প্রশ্ন উঠছে, এই ঘটনার সঙ্গে কি কোনোভাবে জড়িয়ে আছেন হাসপাতালের আধিকারিকরা? বাথরুম থেকে প্রসব যন্ত্রণায় কাতর মায়ের গলার স্বর কেউ শুনতে পেল না? এতটা সময় বাথরুমে ছিলেন ওই যুবতী কেউ টের পেল না? যুবতী কেন তাঁর পুত্রসন্তানকে ফেলে চলে যাবেন? উঠছে এমন ধরনের নানান প্রশ্ন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় স্থানীয় পুলিশ। শুরু হয়েছে ঘটনার তদন্ত। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সিউড়ি সদর জেলা হাসপাতালের সদ্যোজাতদের বিভাগে রাখা হয়েছে শিশুটিকে। খোঁজ চলছে যুবতীর।