বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে 'ভারত রত্ন' দেওয়ার দাবিতে সোচ্চার হলেন বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। জনমুখী বিভিন্ন প্রকল্প ও কেন্দ্র বিরোধী লড়াইয়ের জন্য দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রীকে ভারতরত্নে সম্মানিত করার দাবি জানিয়েছেন ওই বিধায়ক।
উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর গোপালনগরে গত ২৫শে জানুয়ারি সিপিআইএম-এর যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই সমাবেশ করেছিল। সেই সভা থেকে রাজ্য সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করেছিলেন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদিকা মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। 'টেংরি খুলে নেওয়া'র নিদান দিয়েছিলেন তিনি। শনিবার সেই সভারই পাল্টা সভা করে তৃণমূল। ওই সভাতেই বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস বলেছেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত যে সব প্রকল্পই করেছেন সেগুলো কেন্দ্র অনুকরণ করে। এছাড়া দুনিয়াজুড়ে ওই সব প্রকল্প সমাদৃত। গোটা দেশে আর কোনও রাজ্য নেই যারা কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়াই করেই চলেছে। রাজ্যের প্রাপ্য টাকা আটকে রেখেছে মোদীর সরকার। শুধু জনমুখী প্রকল্পের জন্যই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে ভারতরত্ন দেওয়ার দাবি করছি।'
বিশ্বজিৎ দাসের এই দাবিকে সমর্থন করেছেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী। তিনি বলেছেন, 'ভালবেসেই এই দাবি করেছেন বিশ্বজিৎ।'
উল্লেখ্য, একুশের আগে তৃণমূলের বিধায়ক ছিলেন বিশ্বজিৎ দাস। পরে বিজেপিতে যোগ দেন। জেতেন বাগদা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে। তবে, বিশ্বজিৎ বিজেপি বিধায়ক হলেও একুশের বিধানসভা ভোটের কয়েক মাস পরেই প্রাক্তন মন্ত্রী তথা অপসারিত তৃণমূল মহাসচি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের থেকে জোড়-ফুল পতাকে হাতে নিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এরপর খাতায়-কলমে বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসকে তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি করে শাসক দল। দলত্যাগ বিরোধী আইনে বিশ্বজিতের বিধায়ক পদ বাতিলের দাবি তুলেছে পদ্ম শিবির।
আরও পড়ুন- ‘এই অপরাধ রাজ্য এক হাজারবার করবে’! সাফ বললেন অভিষেক