'ধর্ম হোক যার যার, বড়মা সবার।' এটাই এবছরের কালীপুজোর স্লোগান বাঘাযতীন শক্তি সংঘের। নৈহাটির বড় কালী অর্থাৎ 'বড়মা'র আদলেই এবার প্রতিমা তৈরি করেছে বাঘাযতীনের এই ক্লাব। বাঘাযতীন শক্তি সংঘের নজরকাড়া এই চিন্তাভাবনা ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলে দিয়েছে। একটানা তিন বছর বড়মা'র আদলেই কালীমূর্তি তৈরি করবে এই ক্লাব। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে বাঘাযতীনের ৬০ বছরের এই কালীপুজো ইতিমধ্যেই বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
করোনাকালে এবার দ্বিতীয়বারের কালীপুজো। কালীপুজো মানেই মধ্যমগ্রাম-বারাসতের কথা সবার আগে মনে আসে। একের পর এক তাক লাগানো মণ্ডপে ভিড় উপচে পড়ে প্রতিবার। এরই পাশাপাশি নৈহাটির বড়মা কালীর কথা না বললেই নয়। নৈহাটিতে বড়মার পরেই বিসর্জন হয় অন্য প্রতিমার। স্থানীয়দের বিশ্বাস বড়মা খুবই জাগ্রত।
এবার নৈহাটির বড়মার আদলেই দেবীমূর্তির রূপ বাঘাযতীন শক্তি সংঘের। শুধু বড়মার আদলের মূর্তি তৈরিই নয়, বাঘাযতীনের এই পুজোয় নৈহাটির বড়মা পুজোর সব রীতি-রীতিও মানা হয়েছে নিষ্ঠাভরে। দেবীমূর্তির মাথার উপর রয়েছে চাঁদোয়া। বড়মার আদলেই নানা অলঙ্কারে সাজানো হয়েছে মা কালীকে।
শক্তি সংঘের সহ সভাপতি দীপক চন্দ বলেন, 'বড়মার মতো হুবহু আদল হয়তো দিতে পারিনি। তবে চেষ্টা করেছি। তিন বছর পরপর এমন পুজো করব। বড়মার আদলে মূর্তি তৈরি করতে নৈহাটির বড়মা কালীপুজোর পৃষ্ঠপোষকদের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়েছে।' শক্তি সংঘের কালীপুজোর সম্পাদক বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, 'নতুন কিছু একটা শুরুর চিন্তাভাবনা চলছিল। সেই চিন্তাভাবনা থেকেই বড়মার আদলে মূর্তি গড়ে কালীপুজো করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমরা।'
আরও পড়ুন- কালীপুজোর রাতে আরও নামল পারদ, জাঁকিয়ে শীত সময়ের অপেক্ষা
'ধর্ম হোক যার যার, বড়মা সবার।' এটাই বাঘাযতীন শক্তি সংঘের এবছরের কালীপুজোর স্লোগান। ১৭ ফুট উচ্চতার দেবীমূর্তি নৈহাটির বড় কালীর কথা মনে করিয়ে দিতে বাধ্য। নৈহাটির বড় কালীর পুজোর যেমন আলাদা রীতি-রেওয়াজ রয়েছে, সেই সব নিয়ম মানা হয়েছে এখানেও। এবছর থেকে শুরু করে একটানা তিনবছর বড়মার আদলে মূর্তি বানিয়েই পুজো করবেন উদ্যোক্তারা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন