তখন সকাল প্রায় ৯টা। হাওড়া স্টেশনের ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঢুকছে ডাউন বাগনান লোকাল। হঠাৎ জোর ঝাঁকুনি, স্লিপারের সঙ্গে চাকা ঘষতে ঘষতে কিছুটা এগিয়ে দাঁড়িয়ে গেল ট্রেন। আতঙ্কে আত্মারাম খাঁচা লোকালের যাত্রীদের। হুটোপাটি পড়ে যায় ট্রেনের মধ্যে। এরপরই জানা যায়, টিকিয়াপাড়া কারশেডেরে কাছে লাইনচ্যুত হয়েছে ডাউন বাগনান লোকালের ৫ নম্বর বগির ৪টি চাকা। দুর্ঘটনার সময় হাওড়া স্টেশন থেকে মাত্র ১৫০ মিটার দূরে ছিল ট্রেনটি। স্টেশনে ঢোকার মুখে ট্রেনটির গতি অত্যন্ত কম থাকায় বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন যাত্রীরা। ওই ট্রেনের যাত্রীদের রেললাইন ধরে হেঁটে স্টেশনে যান। ভরা অফিস টাইনে লোকাল লাইচ্যূত হওয়ায় চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে যাত্রীদের।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান রেলের পদস্থ আধিকারিক ও ইঞ্জিনিয়াররা।পৌঁছন পূর্ব রেলের হাওড়ার ডিআরএম। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু হয়। এই ঘটনার পর হাওড়ার ১৪ ও ১৫ নম্বর লাইনের বিদ্যাৎ সংযোগ ব্লক করে দেওয়া হয়। ফলে বন্ধ থাকে ওই দুই ডাউন লাইনের ট্রেন চলাচল। তবে এই ঘটনার জেরে দূরপাল্লার ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হয়নি বলেই রেল সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন- কলকাতার ছেলের প্রেমে হাবুডুবু, সীমান্ত পেরিয়ে ছুটে এলেন পাক তরুণী, কাহিনী চমকে দেবে!
ট্র্যাক চেঞ্জ করার সময় এই ঘটনা বলে অনুমান রেলকর্তাদের। কী কারণে এই ঘটনা তা খতিয়ে দেখতে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, এই ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইঞ্জিনিয়ার এবং রেলের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। দ্রুত কাজ শুরু করা হয়েছে। তবে রেল পরিষেবা স্বাভাবিক হতে কিছুটা সময় লাগবে। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলেই আশা প্রকাশ করেন রেলের আধিকারিকেরা।