দুর্গাপুজোয় যা পারেনি, তা কালীপুজোয় করে দেখাতে মরিয়া বাগরি মার্কেট। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের দগ্ধ স্মৃতি কাঁধে নিয়ে এ বছর পুজোর বাজার সেভাবে করতে পারেননি বাগরির ব্যবসায়ীরা। বাগরির বহু দোকানিই ঠিকানা বদলে আশপাশের মার্কেটে আশ্রয় নিয়েছেন। এবার কালীপুজোর আগে পুরনো ভিটেয় যাতে আবার বাণিজ্য করতে পারেন, সে ব্যাপারে মরিয়া বাগরি মার্কেট কমিটি কর্তৃপক্ষ।
এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কমিটির এক সদস্য বললেন,‘‘দুর্গাপুজোর মার্কেট তো গেল, এখন দীপাবলির জন্য কিছু করছি, যদি খুলে যায়, সেই চেষ্টায় আছি। মনে হয়, কালীপুজোয় খুলতে পারা যাবে। আশা করছি আমরা এনওসি পেয়ে যাব। চেষ্টায় রয়েছি আমরা। পুরসভার যা নির্দেশিকা আছে, তা মেনেই কাজ করছি।’’ উল্লেখ্য, চলতি মাসের শুরুতে পুরসভার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন যে, সবকিছু খতিয়ে দেখেই মার্কেট খোলা হবে।
অগ্নিকাণ্ডের সময় বাগরির সেই চেহারা। ফাইল ছবি।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর ভোররাতে বাগরি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের পর জঞ্জাল সাফাইয়ের কাজে গতকাল রাত থেকেই হাত লাগিয়েছেন পুরকর্মীরা। সাফাই অভিযানের পরই কি তবে সম্ভবত ছাড়পত্র পেতে চলেছে বাগরি মার্কেট? মার্কেটে সাফাই অভিযান প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ(জঞ্জাল) মলয় মজুমদার বলেন,‘‘গতকাল রাত থেকে সাফাই অভিযান শুরু করেছি। দিনের বেলায় কাজ করতে পারছি না। রাতে আমাদের লোকেরা কাজ করছেন। রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত সাফাইয়ের কাজ করা হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা দোকানের ভিতর থেকে যা যা বের করে দেবেন, সেগুলিই সাফ করা হচ্ছে।’’
আরও পড়ুন, হতাশ মুখেই ছন্দে ফিরছে বাগরি চত্বর, নয়া ঠিকানায় ব্যবসায়ীরা
এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের প্রায় দেড় মাস পরেও এখনও কোনও হদিশ মেলেনি বাগরির মালিকপক্ষের। এখনও ফেরার রাধা বাগরি, বরুণ বাগরিরা। কোন পথে চলছে তদন্ত? জবাবে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে ডিসি সেন্ট্রাল শুভঙ্কর সিনহা শুধু বললেন,‘‘বাগরির তদন্ত চলছে, তদন্ত এগোচ্ছে।’’ উল্লেখ্য, বাগরির মালিকদের কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না, তা নিয়ে প্রথম থেকেই ক্ষোভ ছিল বাগরির ব্যবসায়ীদের একাংশের। এ প্রসঙ্গে অবশ্য বাগরি মার্কেট কমিটির ওই সদস্য বললেন,‘‘আমরা দোকানদার, আমরা দোকান খুলতে ব্যস্ত। পুলিশের কাজ পুলিশ করবে।’’