বাগুইআটিতে নিহত দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর হত্যার ঘটনায় জনরোষ প্রবল। তদন্তের শুরুতেই পুলিশের ভূমিকা ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে। যা কার্যত মেনে নিয়েছেন খোদ রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছে দুই পড়ুয়ার পরিবার। এই পরিস্থিতিতে বুধবার বিকেলে বাগুইআটিতে নিহত অতনু দে এবং অভিষেক নস্করের বাড়িতে যান মন্ত্রী সুজিত বসু। তার একটু পরেই সেখানে হাজির হন বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার সুপ্রতিম সরকার। গিয়েছিলেন সিআইডির তিন সদস্যের একটি দল-ও। এছাড়াও ছিলেন, স্থানীয় বিধায়ক অদিতী মুন্সী ও বিধাননগরের মেয়ার পারিষদ দেবরাজ চক্রবর্তী।
মন্ত্রী সুজিত বসু বলেছেন, 'খুনীদের রেয়াত করা হবে না। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই গোটা ঘটনা নিয়ে উদ্বীগ্ন। তাই জন্যই সিআইডিকে তিনি দায়িত্ব নিয়েছেন। সাসপেন্ড করা হয়েছে দুই পুলিশ আধিকারিককে।' বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার সুপ্রতিম সরকারের কথায়, 'ঘটনার তদন্তভার সিআইডি নিয়েছে। তদন্তও শুরু হয়ে গিয়েছে।'
আরও পড়ুন- প্রশ্নে পুলিশের সমন্বয়, বাগুইআটি জোড়া ছাত্র খুনের তদন্তে গোড়াতেই বড় গলদ
এ দিন দুপুরে নিহত ছাত্রদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সন্ধ্যায় যান, দলের রাজ্য সম্পাদক মহঃ সেলিম, সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তীরা। তবে সব দলের রাজনৈতিক নেতাদেরই স্থানীয়দের বাধার মুখে পড়তে হয়।
আরও পড়ুন- বাগুইআটিতে জোড়া ছাত্র খুন: আরও কড়া নবান্ন, সাসপেন্ড আইসি কল্লোল ঘোষ
জোড়া মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী হত্যার ঘটনায় পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল বলে শুরু থেকেই অভিযোগ উঠছে। গত ১৯ তারিখের পর পরিবারের তরফে দুই ছাত্রের নিখোঁজের বিষয়টি জানানোর পরেও কেন পুলিশ পদক্ষেপ করল না তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। সেই সময় মন্ত্রী সুজিত বসুর কাছে গেলেওফল মেলেনি বলেও অভিযোগ। এমনকী মুক্তিপণ চেয়ে এসএমএসেরপরও পুলিশ কৎপর ছিল না বলে অভিযোগ।