বাগুইআটিতে জোড়া কিশোরের খুনের ঘটনায় ক্লোজ করা হল বাগুইআটি থানার আইসিকে। বুধবার এই ঘটনার তদন্তভার সিআইডিকে দেওয়া হল। পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনায় পুলিশের ক্ষুব্ধ হয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অসন্তোষের কথা এদিন জানিয়েছেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি জানিয়েছেন, কেউ ছাড়া পাবে না। দোষীরা শাস্তি পাবে। ডিজিকে বিশেষ নজর দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাগুইআটি থানার পুলিশ। গ্রেফতার হওয়া আসামীদের নাম অভিজিৎ বোস, শামিম আলি, শাহিল মোল্লা ও দীপেন্দু দাস। এদিকে দুই ছাত্রের মরদেহ উদ্ধারের পর এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এবং মৃতদের পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ওই ঘটনায় সোমবার অভিজিৎ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও তিনজনের সম্পর্কে জানতে পারে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, অভিজিৎ এর কাছ থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। দুই কিশোরই গত ২২ আগস্ট নিখোঁজ হয়। মোটর সাইকেল কেনার অজুহাতে সত্যেন্দ্র নামে এক ব্যক্তি তাকে গাড়িতে তুলে নেয়। এরপর রাজারহাটের একটি বাইকের দোকানে যান তিনি। সেখান থেকে বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়েতে যান। অভিজিৎ জানান, দুই ছাত্রকে গাড়িতেই শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন গাড়িতেই শ্বাসরোধ করে হত্যা! জোড়া খুনে হুলস্থূল বাগুইআটি, পুলিশের ভূমিকা নিয়েই বাড়ছে ক্ষোভ
দুই পরিবারের অভিযোগ, বার বার অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও গুরুত্ব দেয়নি পুলিশ। মর্গে দীর্ঘদিন দেহ পড়ে থাকলেও, পুলিশ খবরই রাখেনি বলেও অভিযোগ উঠছে। বাড়িতে ফোন করে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয় বলেও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। ফোন নম্বর নিয়ে তাদের খোঁজ শুরু করে পুলিশ। প্রথমে পুলিশ ভেবেছিল তারা কোথাও বেড়াতে গিয়েছে। এই ভেবেই বিশেষ আমল দেয়নি ঘটনার । পরিবারের কথায়, "১০-১২ দিন পর আমার ছেলের মোবাইল উদ্ধার করা হয়। এক কোটি টাকা অপহরণের বিষয়ে আমরা ফোনে মেসেজ পেয়েছি। তারপরই পুলিশ সেভাবে তৎপর হয়নি।" গোটা ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধেই সরব হয়েছে দুই ছাত্রের পরিবার।