বাগুইআটিতে দুই কিশোরকে অপহরণ ও খুনের ঘটনায় এবার রাজনৈতিক চাপানউতোর। গতকালই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সিবিআই তদন্ত দাবি করেছে বিজেপি। ওই দিনই নিহত ছাত্রের বাড়িতে গেলে বাধার মুখে পড়েন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁকে দেখে গো-ব্যাক স্লোগান দেওয়া হয়। বাধ্য হয়ে বিক্ষোভের মুখে ফিরে যান সুকান্ত। তিনি ফিরে যেতেই নিহতের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন স্থানীয় বিধায়ক অদিতি মুন্সি।
সুকান্ত এলাকায় যেতেই মঙ্গলবার বিক্ষোভ শুরু হয়। তাঁকে দেখেই গো-ব্যাক স্লোগান ওঠে। প্রবল বিক্ষোভ হয়। শেষ পর্যন্ত নিহত ছাত্র অতনুর বাড়িতে ঢুকতে পারেননি সুকান্ত মজুমদার। যদিও তার জন্য তৃণমূলকে দায়ী করেছেন তিনি। সুকান্তর দাবি, ভাড়া করে লোক এনে তাঁকে বাধা দেওয়া হয়েছে। সুকান্ত ফিরে যেতেই নিহত ছাত্রের বাড়িতে যান তৃণমূল বিধায়ক অদিতি মুন্সি। তিনি নিহতের পরিজনের সঙ্গে কথা বলেন। অদিতি জানিয়েছেন, যা হয়েছে তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। দোষীরা যাতে কঠোর শাস্তি পায় তা নিশ্চিত করবে রাজ্য সরকার।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২২ অগাস্ট কলকাতার বাগুইআটির জগৎপুর এলাকা থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী দুই ছাত্রকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে। গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময়েই দুই স্কুল পড়ুয়া অতনু দে ও অভিজিৎ নষ্করকে অপহরণ করা হয়েছে বলে তাদের বাড়িতে জানায় অপহরণকারীরা। এমনকী ১ কোটি টাকা মুক্তিপণ চেয়ে দুই ছাত্রের পরিবারের সদস্যদের এসএমএস পাঠানো হয় বলেও জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন ১১ দিন মর্গেই দেহ, বাগুইআটির দুই কিশোর খুনে পুলিশকেই দুষছে পরিবার, CBI চায় বিজেপি
মুক্তিপণ না মিললে দু’জনকে খুন করা হবে বলে হুমকিও দিয়েছিল অপহরণকরারী। এমন হুমকিতে দিশেহারা দশা হয়ে দুই পরিবারই ২৩ অগাস্ট বাগুইআটি থানায় অভিযোগ দায়ের করে। থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও দায়ের করা হয়। কিন্তু পুলিশ শুরু থেকেই এই দুই ছাত্রের অপহরণ নিয়ে যথোপযুক্ত ভূমিকা গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ পরিবারের।
পরিবারের অভিযোগ, ২২ অগাস্ট দুই কিশোর নিখোঁজ হয়ে গেলেও বাগুইআটি থানার পুলিশ ঘটনার কিনারা করতে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে পরিবার। যদিও পুলিশ ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় মোট চারজনকে গ্রেফতার করেছে। খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী-সহ আরও কয়েকজন অধরা রয়েছে।