জামিন পেলেন কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী। ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন হল তাঁর। এছাড়া ব্যাঙ্কশাল আদালতের বিচারকের নির্দেশ, কংগ্রেসের এই নেতাকে সপ্তাহে একদিন পুলিশের কাছে হাজিরা দিতে হবে। কৌস্তভের মন্তব্যের উদ্দেশ্য খুঁজে বার করতে তাঁকে ১০ মার্চ পর্যন্ত নিজেদের হেফাজতে নিতে সওয়াল করেছিল পুলিশের আইনজীবী। যা খারিজ হয়েছে আদালতে।
এদিন ব্যাঙ্কশাল কোর্টে কৌস্তভের হয়ে সাওয়াল করেন সিপিআইএম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। এজলাসে তিনি বলেন, 'মাঝরাতে আইনজীবীকে তুলে আনার অধিকার পুলিশকে কে দিয়েছে? সে কি কোনও সন্ত্রাসমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত? কৌস্তভ বলেছেন, একটি বই বাজারে আছে। যে বইয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অতীত ও বর্তমান সম্পর্কে বলা আছে। সেই বই এখনও বাজারে পাওয়া যাচ্ছে, সরকার তো ব্যান করেনি। কেন ৪১ ধারায় নোটিস করল না পুলিশ? কেন মাঝরাতে পুলিশ বাড়িতে ঢুকল? এরপর তো কোনও বিচারকের বাড়িতেও পুলিশ ঢুকে যাবে। কোথায় যাচ্ছে আইন ব্যবস্থা? রাত ৩টেয় বাড়িতে পুলিশ চলে এল! এত রাতে কারও বাড়িতে পুলিশ যাওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের নিষেধাজ্ঞা আছে। ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেওয়া হোক, না হলে আমরা কোর্টরুম থেকে নড়ব না।' প্রবল হইহট্টোগলের মাঝেই একসময় এজলাস ছেড়ে উঠে যান বিচারক।
আরও পড়ুন- কুণালের U টার্ন? রাখঢাক সরিয়ে কৌস্তভ গ্রেফতারিতে খুল্লমখুল্লা পুলিশকে ধুলেন কুণাল
এক তৃণমূল কর্মীর নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে হুমকি এবং অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে শুক্রবার গভীর রাতে কৌস্তভের ব্যারাকপুরের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে কলকাতার বড়তলা থানার পুলিশ। কৌস্তভের বিরুদ্ধে একাধিক অজমিনযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০-বি, ৩৫৪-এ, ৫০৪-বি, ৫০৬, ৫০৯, সহ নানা ধারায় মামলা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- কংগ্রেসের কৌস্তভের হয়ে ব্যাট ধরলেন বিজেপির শুভেন্দু! ‘মমতার পুলিশ’কে তুলোধনা
গ্রেফতারের সময় কৌস্তভ বাগচীর দাবি, রাত আড়াইটে নাগাদ পুলিশ তাঁর ব্যারাকপুরের বাড়িতে যায়। সকালে পুলিশের আরও একটি দল পৌঁছয় ওই বাড়িতে। গ্রেফতারের আগে ধারা দেওয়া নিয়ে পুলিশের সঙ্গে তুমুল কথা কাটাকাটি হয় আইনজীবী ও কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীর। তাঁকে সকালে বড়তলা থানায় আনা হয়। সেই সময় থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় স্লোগান দেন করেন কংগ্রেস কর্মীরা। গ্রেফতারের পর কৌস্তভ বাগচী বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছেন, এভাবে ভয় দেখিয়ে কণ্ঠরোধ করা যাবে না।'