পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর সংঘাত সর্বজনবিদিত। আবার এই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতেই বেশ কয়েকবার বৈঠক করতে যান বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। মিল্লি আল-আমিন কলেজের অধ্যক্ষ পদ নিয়ে পার্থর সঙ্গে চরম সংঘাতের জায়গায় যায় পরিস্থিতি। এবার মন্ত্রীর গ্রেফতারি নিয়ে মুখ খুললেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। শোভন-বান্ধবী একটি সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন, “ওঁর অহঙ্কারই ওঁর পতনের কারণ।”
বৈশাখী বলেছেন, “পার্থদা বলতেন, শোনো বৈশাখী, শিক্ষা দফতর চলবে নাকতলা থেকে হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট থেকে নয়। আমার মনে হয় আজকের এই পতনের পিছনে কোথাও ওনার অহং বোধ কাজ করছে। উনি কথায় কথায় বলতেন, আই অ্যাম নাম্বার টু, আই অ্যাম নেক্সট টু মমতা। মমতা ক্যান নট সে এনিথিং টু মি (আমি দুই নম্বর, আমি মমতার পরেই। মমতা আমাকে কিছু বলতে পারবেন না)। এবং খুব ওপেনলি বলতেন, আমি যা করি তাতে মমতার সিলমোহর থাকে।”
আরও পড়ুন ৫ জনের নামের তালিকা পাঠান পার্থকে, কিন্তু চাকরি হয়নি, অবশেষে মুখ খুললেন অনন্তদেব
বৈশাখী বলেছেন,” এই যে অর্পিতার বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার হয়েছে, সেটা যদি ওনারই টাকা হয় তাহলে আমি বলবে যে এধরনের দুর্নীতি ঘনিয়ে আসছে, সেটা যে অস্তিত্বকে প্রশ্নের মুখে ফেলতে পারে সেটা আমি ওনাকে সাবধান করেছিলাম। চুরিটাকে কর্পোরেট কায়দায় প্রশ্রয় দিয়ে একটা ইন্ডাস্ট্রিতে পরিণত করেছেন।”
আরও পড়ুন অন্যায় করলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড চান মমতা! ‘ঠিক বলেছেন’, কলকাতায় ফিরে বললেন পার্থ
বৈশাখী বলেছেন, “নারদা কাণ্ড নিয়ে আমি বলব শোভন একেবারে নির্দোষ। চক্রান্তের শিকার। ঠিক ইলেকশনের আগে ভিডিওটা লিক হল, একথাও বলতে শুনেছি লোকে। রাজনৈতিক ক্ষমতায় আমি টাকা নিলাম, তার পর সেটা বান্ধবীর বাড়িতে রাখলাম ব্যক্তিগত আনন্দের জন্য। আমি আমার শিক্ষাক্ষেত্রকে হারেমে পরিণত করলাম সেটা কদর্য। পার্থদার যে দুর্নীতি সামনে এসেছে তা সারদা-নারদা সবকিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে। একজন ব্যক্তির টাকা-মহিলার লালসা সেটা কোনও কিছুর সঙ্গে তুলনা করা যায় না।”