শোভন-বৈশাখীর সুখের সংসার। মাঝে মধ্যেই নিজেদের সুখের কথা সংবাদ মাধ্যমে তুলে ধরেন তাঁরা। কিন্তু, সেই সুখের সংসারে হল কী? ক্রমশ নাকি কোণঠাসা শোভন! বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'বন্ধু' নিজেই বলছেন, 'আমি ওদের দু'জনের মধ্যে স্যান্ডউইচ হয়ে গিয়েছি।' কে এই তৃতীয় ব্যক্তি?
বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় ও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সংসারে রয়েছে মেয়ে মহুল। তিন জনের সংসার। তাহলে কেন 'স্যান্ডউইচ' হচ্ছেন শোভন? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই রহস্যই ফাঁস করেছেন খোদ বৈশাখী।
বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, 'মেয়ের পছন্দের রঙেই আমরা পোশাক পরি বা বাড়িতে অনুষ্ঠান হলে সেই রঙের থিমেই সাজে সবাই। লোকে ভাবে আমি এই বাড়ির কর্ত্রী, কিন্তু ওর সর্বময় কর্তৃত্ব আছে এই বাড়িতে। ও যদি কিছু বলে দেয় তখন শোভনও সেটাই মেনে নেয়। ওটাই হবে।'
'বান্ধবী' বৈশাখীর কথার রেশ ধরে তখন শোভন বলেন, 'আমি ওদের দু'জনের মধ্যে স্যান্ডউইচ হয়ে গিয়েছি।'
এমনিতে শোভন ও বৈশাখী কন্যা মহুলের সম্পর্ক মধুর। একে অপরকে ডাকের 'দুষ্টু' ও 'মিষ্টু' নামে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও দেখা যায় শোভন বৈশাখীর সঙ্গে হাসি মুখেই রয়েছে মহুল। নিজের কন্যা স্নেহেই মহুলের সঙ্গে ব্যবহার করেন কলকাতা প্রাক্তন মেয়র। তাই মেয়ে ও তাঁর মায়ের আদুরে আবদারে নিজের অবস্থার কথা বোঝাতে গিয়ে শোভনবাবু 'স্যান্ডউইচ' শব্দটি ব্যবহার করেন।
বৈশাখী কন্যা মহুলকে ডটার্স-ডে উপলক্ষে বিরাট অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি নিজেই প্রকাশ্যে এনেছিলেন শোভন 'বান্ধবী'। লম্বা সোশাল মিডিয়া পোস্টে লিখেছিলেন, 'অনুমান করুন তো যে ডটার্স ডে'তে ও মহুলকে কী উপহার দিয়েছে? মহুল দু'বছর আগে দুষ্টুকে বলেছিল যে ও আর মনোজিতের পদবী ব্যবহার করতে চায় না। গতকাল শোভন ওকে ফাইনালি সেই সার্টিফিকেট দেয় যেখানে ও কেবল রিলিনা বন্দ্যোপাধ্যায়, রিলিনা বন্দ্যোপাধ্যায় মণ্ডল নয়। এখন থেকে মহুল খালি আমার, আমার মেয়ে। অনেক ধন্যবাদ শোভন।'