West Bengal Assembly: বাংলাদেশের রাস্তায় নেই সেনাবাহিনী। কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে পুলিশের বিভিন্ন সংগঠন। সর্বত্র চলছে লুঠ, ধর্ষণ, খুন, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ। নিরাপত্তার অভাব বোধ করেই বহু ভারতীয়রা পালিয়ে আসছেন বাংলায়। অনেক বাংলাদেশি মানুষেরা চিকিৎসার কথা বলেই তড়িঘড়ি ভারতে প্রবেশ করছেন।
হাসিনা দেশ ছাড়তেই বাংলাদেশ ছাড়ার হিড়িক তার সাংসদ-মন্ত্রীদের। অনেকের খোঁজেই তল্লাশি শুরু করেছে গোয়েন্দা। এসবের মাঝে নতুন বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া। এদিনই বাংলাদেশে সভা করে বিএনপি। আজ সন্ধ্যায় দেশে ফিরছেন খালেদা পুত্র তারিক রহমনও। এর মাঝে ঢাকায় ইস্কনের মন্দিরে বোমা হামলা। চরম আতঙ্কে রয়েছেন বাংলাদেশে বসবাসকারী হিন্দুরা।
ইস্কনের তরফে রাধারমণ দাস জানিয়েছেন," একাধিক মন্দিরে হামলা হয়েছে। চরম আতঙ্কিত ভক্তরা। পুলিশ হরতালের ডাক দিয়েছে। ফলে কোথায় যাবেন, কার কাছে অভিযোগ যাবেন ভক্তরা কিছুই বুঝতে পারছেন না"। বাংলাদেশের শান্তি ফেরাতে আজই প্যারিস থেকে দেশে ফিরছেন মহম্মদ ইউনুস। নোবেলজয়ী কী পারবেন পদ্মাপারের শান্তি ফেরাতে গোটা বিশ্বের নজর এখন সেদিকেই।
আরও পড়ুন - < Bangladesh Unrest: হিংসার আগুনে জ্বলছে! আটকে থাকা ভারতীয় ট্রাকচালকদের ফেরাতে তৎপরতা তুঙ্গে >
লাশের সারির মাঝেই 'শান্তি ফিরুক ওপারে' একটাই প্রার্থনা বিধান সভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিধানসভায় বাইশে শ্রাবণ অনুষ্ঠান শেষে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, " বাংলাদেশের ঘটনা খুবই মর্মান্তিক। গোটা বিশ্বের মানুষ দেখছেন। আমি অধ্যক্ষ হওয়ার পর একটি সম্মেলনে বাংলাদেশ গেছিলাম। আমার বাবা কাকা যেখানে থাকতেন, সেই বাড়িতেও আমি গেছিলাম। বাংলাদেশ মানে আমাদের কাছে একটা স্মৃতি, আবেগ । আমি আশা করব বাংলাদেশের স্বাভাবিক পরিস্থিতি আবার ফিরে আসবে। বাংলাদেশে অনেকে পরিচিতদের আত্মীয় স্বজন রয়েছেন, তারা চরম উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছেন”। মন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, "একাত্তরে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর আমি গেছিলাম। বাংলাদেশ মানে একটা অন্য আবেগ। এই আবেগ নিয়েই আমরা থাকতে চাই।”
কেউ এসেছেন চিকিৎসা করাতে কেউ আবার এসেছিলেন আত্মীয়ের বাড়িতে। বাস পরিষেবা চালু হতেই দেশে ফেরার হিড়িক কলকাতায় থাকা বাংলাদেশিদের। তবে চোখে-মুখে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট।